টানা দ্বিতীয়বার বিপিএল চ্যাম্পিয়ন বরিশাল

New-Project-70.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) এর শিরোপা নিজের ঘরে রাখলো তামিম ইকবালে দল ফরচুন বরিশাল। শেষ ওভারে বরিশালের প্রয়োজন ছিল ৮ রান। মাঠে ছিলেন জাতীয় দলে খেলোয়ার রিশাদ হোসেন। অধিনায়ক তামিম ইকবালের রিশাদের প্রতি আস্থা আছে এমন কথাটি  আগেই জানিয়েছিলেন। অধিনায়কের সেই আস্থার প্রতিদানও দিলেন রিশাদ হোসেন। দলকে খাদের কিনারা থেকে শিরোপা আনলেন নিজেদের ঘরে।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) টস জিতে আরেক ফাইনালিস্ট চিটাগং কিংসকে প্রথমে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছে বরিশাল। জিততে হলে বরিশালকে করতে হবে ১৯৫ রান।

এর আগে ম্যাচ জিতলেই প্রথমবারের মত শিরোপা ঘরে তুলবে চিটাগং কিংস। এমন সুযোগকে সামনে রেখে প্রথম ইনিংসটা নিজেদের করে নিতে ভুল করেননি চিটাগংয়ের দুই ওপেনার। বিপিএল ফাইনালে প্রথমবারের মত একই দলের দুই ওপেনার অর্ধ-শতকের দেখা পেয়েছেন এদিন।

ইনিংসের শুরু থেকেই বরিশাল বোলারদের রীতিমত শাসন করেছেন এ দুই ব্যাটার। কোনো উইকেট না হারিয়ে পাওয়ারপ্লেতে ৫৭ রান তোলে চিটাগং। ইমন ৩০ বলে তুলে নেন অর্ধ-শতক। দলীয় ১২১ রানের মাথায় ইবাদত হোসেনের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন নাফে। তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ৬৬ রান।

জবাবে বরিশালের হয়ে ওপেনার ও অধিনায়ক তামিম ২৯ বলে ৫৪ রান যোগ করেন। শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করা এই অভিজ্ঞ ব্যাটার নয়টি চারের সঙ্গে একটি ছক্কা তোলেন। টুর্নামেন্টে তামিম তৃতীয় সর্বোচ্চ ৪৬৭ রান করেছেন। তার ওপরে আছেন কেবল নাঈম শেখ (৫১১) ও তানজিদ তামিম (৪৮৫)। তার সঙ্গে জুটি গড়া ওপেনার হৃদয় ২৮ বলে তিন চারের শটে ৩২ রান করেন।

বরিশালকে জেতাতে বড় ভূমিকা রেখেছেন কাইল মায়ার্স। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৪২ রানের জুটি গড়েন তিনি। ওই জুটিতে জয়ের সুবাস পেতে শুরু করে বরিশাল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অলরাউন্ডার মায়ার্স ২৮ বলে ৪৬ রান করেন। তিনটি করে চার ও ছক্কা তোলেন তিনি। মাহমুদউল্লাহ ১১ বলে ৭ রান করলেও ৬ বলে দুই ছক্কায় ১৮ রান করেন রিশাদ হোসেন।

চিটাগাং কিংস একাদশ:

খাজা নাফি, পারভেজ হোসেন ইমন, নাঈম ইসলাম, গ্রাহাম ক্লার্ক, হুসাইন তালাত, মোহাম্মদ মিঠুন (অধিনায়ক), শামীম হোসেন পাটোয়ারী, খালেদ আহমেদ, আরাফাত সানি, শরিফুল ইসলাম ও বিনুরা ফার্নান্দো।

ফরচুন বরিশাল একাদশ:

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), কাইল মায়ার্স, তাওহীদ হৃদয়, ডেভিড মালান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোহাম্মদ নবি, রিশাদ হোসেন, এবাদত হোসেন, তাইজুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলি।

Leave a Reply

scroll to top