দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর কবর জিয়ারত ও সাঈদী ফাউন্ডেশনের পরিদর্শন করেছেন জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের সন্তানরা। সোমবার (০৩মার্চ) সকালে পিরোজপুর এসে পৌঁছে সকাল ১০টায় আল্লামা সাঈদীর কবর জিয়ারত করেন ও সাঈদী ফাউন্ডেশন পরিদর্শন করেন তার। পরিদর্শন শেষে সাঈদীর জীবনীর উপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন।
আল্লামা সাঈদীর কবর জিয়ারত ও সাঈদী ফাউন্ডেশন এর পরিদর্শনে আসেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইসলামী স্কলার, লেখক ও গবেষক মুফতি কাজী ইব্রাহীম,শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীর রহ. এর সন্তান ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন, সৈয়দ আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ রহ.এর সন্তান লেখক আলী আহম্মদ মোহাম্মদ মাবরুর,শহীদ মাওলানা গাজী আবুবকর সিদ্দিক রহ.এর সন্তান অ্যাটর্নি জেনারেল পদমর্যাদায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের প্রসিকিউটর এডমিন এডভোকেট গাজী তামিম।
আল্লামা সাঈদী ফাউন্ডেশন পরিদর্শন শেষে মেহমানরা আল্লামা সাঈদীর কবর জিয়ারত করেন। সকলকে নিয়ে মহান রবের দরবারে দোয়া প্রার্থনা করেন এবং সকল ভুলত্রুটির ক্ষমা করে তাকে জান্নাতের উচ্চ মাকাম দান করার জন্য মহান রবের নিকট ফরিয়াদ কামনা করেন। দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী রহ.এর সন্তান ব্যারিস্টার নাজিব মোমেন। এতে অংশগ্রহণ করেন সাঈদীপুত্র মাসুদ সাঈদী সহ পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ।
দোয়া মোনাজাত ও সাঈদী ফাউন্ডেশন পরিদর্শন শেষে আল্লামা সাঈদীর জীবনীর উপর এক সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। এতে কেন্দ্রীয় সফরকারী নেতৃবৃন্দ, সাঈদী পুত্র মাসুদ সাঈদী ও জেলা জামায়াতে ইসলামী নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের উত্তরসূরিরা তাদের আলোচনায় বলেন, শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রহ.তার জীবদ্দশায় ইসলামের প্রচারে ও প্রসারে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে গেছেন,বহু অমুসলিমকে দ্বীনের দাওয়াত দিয়ে তিনি ইসলাম ধর্মে অধিষ্ঠিত করেছিলেন,তিনি কখনোই কোন অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি, কখনো ব্যক্তি স্বার্থের জন্য কোন কিছুই করেননি।
আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার তাকে মানবতা বিরোধী অপবাদ দিয়ে ১৩টি বছর কারাগারে রেখে বিনা চিকিৎসায় ধুঁকে ধুঁকে তাকে চিকিৎসার নামে হত্যা করেছে। তার বুকে ছিল কুরআন মুখে ছিল হাসি, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি হাসিমুখে সকল অন্যায় সহ্য করেছেন তবুও তিনি অন্যায়ের সাথে আপোষ করেননি। তিনি আমাদের জীবনে অনুস্মরণীয় ও অনুকরণীয় হয়ে থাকবেন।