জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন কার্যক্রম নির্বাচন কমিশনের অধীনে ন্যস্ত রাখার জন্য ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন, ২০২৩’ বাতিল করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা এ তথ্য জানান। এসএমএসে সাড়া না দিলে এনআইডি সংশোধন আবেদন বাতিল করবে ইসি।
ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, এনআইডি কার্যক্রম ইসির কাছ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অধীনে ন্যস্ত করতে বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০২৩ সালে একটি আইন করে। ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন-২০২৩’ শীর্ষক ওই আইনে সরকার প্রজ্ঞাপন জারি করে কার্যক্রম সুরক্ষা সেবা বিভাগে না নেওয়া পর্যন্ত ইসির অধীনেই পরিচালনার কথা বলা হয়। সেই মোতাবেক এখনো এনআইডি ইসির অধীনেই আছে।
এনআইডি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিতে সরকার ২০২১ সালের ২১ মে প্রথমবারের মতো ইসিকে চিঠি দেয়। সে সময়কার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব শফিউল আজিম ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারকে পাঠিয়ে এনআইডি কার্যক্রম ছেড়ে দিতে বলে। ইসি কর্মকর্তারা এতে ঘোর আপত্তি জানালেও কেএম নূরুল হুদার কমিশন এ নিয়ে কোনো জোর আপত্তি তোলেননি। কিন্তু বাধা হয়ে দাঁড়ায় ২০১০ সালের আইনটি। ফলে সে সময় আর নিতে পারেনি সরকার।
এদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারাসহ সুশীল সমাজ এবং দেশের সাধারণ মানুষ এই কার্যক্রমটি ইসির অধীনে রাখার দাবি জানিয়ে আসছে শুরু থেকেই। তারা ২০২৩ সালের নতুন আইনটি বাতিল করার দাবি জানান। এরপর আজ (বৃহস্পতিবার) আইনটি বাতিল হলো।