সারা দেশে ছিনতাইকারীদের উৎপাত বেড়েই চলেছে। সামাজিকমাধ্যম ও সংবাদমাধ্যমে একের পর এক ছিনতাই এর খবর আসছেই। এবার ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছেন অভিনেতা হারুন রশিদ। গতকাল রাত ১১টায় শুটিং শেষে বাসায় ফিরছিলেন তিনি। এ সময় ৩০০ ফিট এলাকায় ছিনতাইয়ের শিকার হন তিনি।
পরে বাসায় ফিরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবাইকে সাবধান করে একটি পোস্টে তিনি লিখেন, কাঞ্চন ৩০০ ফিট থেকে কুড়িল বিশ্বরোড রাত বিরাতে সাবধানে। আজকে আমি কট খেয়েছি কাল আপনি খেতে পারেন। ওই রোডে রাতে সিএনজি স্টার্ট বন্ধ হলে ধরে নেবেন আপনি কট। যেমনটা আমার হয়েছে। শরীরের উপর দিয়া যায় নাই, টাকার ওপর দিয়ে গেছে। নাটক করি বলে মোবাইলটা দিয়া গেছে। ধন্যবাদ ছিনতাইকারী ভাইয়েরা। হারুন রশিদ জানান, ৩০০ ফিটে রূপগঞ্জে ম্যাডামের বাড়ি বলে পরিচিত স্থানে দুই দিনের শুটিং ছিল তার। সেখান থেকে ফেরার পথে নীলা মার্কেটের কাছাকাছি ছিনতাইকারীর কবলে পড়ে নয় হাজার টাকা খোয়া যায় তার।
তিনি বলেন, কাঞ্চন থেকে পাঁচ-সাত মিনিট যাওয়ার পর নীলা মার্কেট পার হওয়ার আগে বাম দিকের রাস্তাটায় একটু অন্ধকার। ওখানেই ঘটনাটি ঘটেছে। আমি সিএনজিতে ছিলাম। ওই জায়গায় সিএনজিটা থামায়। ৩০-৪০ সেকেন্ডের মধ্যে দুটি বাইক চলে আসে। সিএনজি চালক বলছিলেন, গ্যাসের সমস্যা হয়েছে, গাড়ি স্টার্ট নিচ্ছে না। এরকম ঘটনা আগে অনেক শুনেছি। তাই যখনই সে বলছিল, স্টার্ট নিচ্ছে না তখনই ভাবছিলাম আমি বোধহয় বিপদে পড়লাম। তখনই বাইক দুটি আসে। ওদের হাতে চাপাতি ছিল। শুনেছি চাপাতি দিয়ে কোপ দেয়। সে কারণে ওরা বলার সঙ্গে সঙ্গে মানিব্যাগ, মোবাইল দিয়ে দেই। সঙ্গে ব্যাগ ছিল। খুব স্মার্ট ছেলেপেলে। বলছিল, ব্যাগে জামা কাপড় ছাড়া কিছু নাই।
অন্য এক ছেলে বলছিল, উনি তো অভিনয় করেন। ওনার মোবাইলটা নিস না। নিলে আমরা ঝামেলায় পড়ব। টাকাগুলো নিয়ে ওনাকে বিদায় কর। আমাকে শুনিয়েই কথাগুলো বলছিল। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই কাজটি হয়ে গেল। এরপর ওরা বাম দিকের রোড দিয়ে ঝড়ের বেগে চলে গেল। হারুন রশিদ বলেন, এরপর আমি নির্বাক হয়ে ফুটপাতে বসে রইলাম। অনেক গাড়ি যাচ্ছিল। কিন্তু হাত নাড়া সত্ত্বেও থামছিল না।