গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক লাকি আক্তারকে ফ্যাসিবাদী আখ্যা দিয়ে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে মিছিল নিয়ে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তারা লাকি আক্তারকে গ্রেপ্তারে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন।
শাহবাগে শান্তিপূর্ণভাবে এই আন্দোলন চলবে বলে ঘোষণা দেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী। বুধবার (১২ মার্চ) বিকালে রাজধানীর শাহবাগে এক মানববন্ধনে এ ঘোষণা দেন তিনি।
হাদী বলেন, গত পনের বছরে মোল্লাদের এমনভাবে প্রান্তিক করা হয়েছে যখন তারা কোনো কিছুর জন্য দাঁড়ায় তখন তারা মব মব বলে চিল্লাচিল্লি করে। আমরা সচিবালয়সহ অনেক জায়গায় দাঁড়িয়েছি কিন্তু কেউ বলতে পারবে আমরা পুলিশের গায়ে হাতে দিয়েছি?
ইনকিলাব মঞ্চের ঘোষিত পাঁচ দাবি হলো- ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিতের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে ৯০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করা এবং মিথ্যা মামলাকারীর বিচার করতে হবে; দেশকে অস্থিতিশীল করতে মব তৈরি করে পুলিশের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে; শাহবাগের কসাই লাকী আক্তার ও অন্যদের গ্রেপ্তার করে ২০১৩ সালের সকল ষড়যন্ত্র উন্মোচিত করতে হবে; জাতিসংঘকে অন্তর্ভুক্ত করে শাপলা ও সকল গণহত্যার সুষ্ঠু তদন্ত করা এবং জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচার শুরু করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করতে হবে।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র হাদী বলেন, কোন ধরনের উসকানি ছাড়া এক শাহবাগী পুলিশের ওপর লাঠি ছুড়েছে। পুলিশ কমিশনার মামুনকে উপর্যুপুরি মারধর করেছে। এরপর সাত-আটজন সন্ত্রাসী তার ওপর আক্রমণ করেছে। কেউ বলতে পারবেন গতকাল পুলিশের হাতে লাঠি ছিল?
হাদী আরো বলেন, গতকাল তারা গেছে ধর্ষকদের শাস্তির দাবিতে কিন্তু তারা স্লোগান দিয়েছে ইউনূসের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ সর্বশেষ ট্রাম কার্ড হিসেবে শাহবাগীদের ব্যবহার করেছে। তারা আনসার, টোকাই, রিকশাওয়ালা হিসেবে ফিরে এসেছে। আমরা শাহবাগী হলে তাদের শাহবাগে লটকিয়ে রাখতাম। কিন্তু আমরা শাহবাগী না, তাই আমরা সরকারের কাছে বিচার চাই।
ঢাবি শাখার সদস্য সচিব ফাতিমা আক্তার ঝুমা বলেন, ধর্ষণের প্রতিবাদে মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে কিন্তু তারপরও যারা এই শাহবাগে বিচার না চেয়ে ফাঁসি চেয়েছে, আলেমদের হত্যা করতে সহযোগিতা করেছে তারা আজকে আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। যেই শাহবাগেকে খারিজ করে চব্বিশ হয়েছে সেখানে আর কখনো শাহবাগ হবে না, বিচারহীনতার সংস্কৃতি হবে না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবি জুবায়ের বলেন, এই লাকী আক্তারদের ঘুড়ি বাংলার আকাশে কিন্তু নাটাই ভারতের হাতে। তাদের এই উদ্দেশ্য আমরা বেঁচে থাকতে সফল হতে দিব না।