কুয়েট উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার জাবি উপাচার্যের উদ্বেগ ও নিন্দা প্রকাশ

New-Project-2025-02-24T205241.947.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট)উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সংঘটিত অনাকাঙ্ক্ষিত সহিংসতার জের ধরে একদল শিক্ষার্থী উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুদকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে। সোমবার এক বার্তায় উপাচার্য বিস্ময় প্রকাশ করে বলেন, একজন বরেণ্য শিক্ষাবিদ ও সম্মানিত উপাচার্যকে প্রকাশ্যে লাঞ্ছিত, অপমানিত করা কোনোভাবেই  কাম্য নয়।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান মনে করেন, উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও নিগৃহীত করা ফৌজদারি অপরাধ। উপাচার্য বলেন, ২০২৪ এর ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে বতর্মান অন্তর্বর্তী সরকার দেশের সৎ ও বরেণ্য শিক্ষাবিদের বাছাই করে এক অভূতপূর্ব নজির স্থাপন করেছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে উপাচার্যগণ অভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ ও তা বাস্তবায়নে যখন দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, ঠিক সেই সময়ে উপাচার্যের ওপর এই হামলা ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসরদের পুনর্বাসনের অপচেষ্টার শামিল।

তিনি খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের ওপর হামলা, লাঞ্ছিত করার ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদানের দাবি জানান। একইসাথে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যে কোনো সমস্যা অংশীজনদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পরামর্শ প্রদান করেন।

এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান এক বিবৃতিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্যকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি উপাচার্যের উপর হামলাসহ কুয়েটের সাম্প্রতিক সকল ঘটনার  নিরপেক্ষ তদন্ত করা এবং তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান। তিনি বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বিবাদমান বিষয়গুলোর শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য সকল পক্ষেরই আন্তরিকভাবে কাজ করা উচিত।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি নিষিদ্ধের প্রতিবাদে সেখানো ছাত্রদল, যুবদলের নেতা কর্মীদের সঙ্গে সাধারণ ছাত্রদের ব্যাপক মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে উভয় পক্ষের আহত হয়েছেন প্রায় শতাধিক। এই ঘটনায় ছাত্রদল দোষারোপ করছেন শিবিরকে। অপরদিকে শিবির বলছেন এখানে তাদের কোনো ভূমিকা নেই। এই নিয়ে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেন।

Leave a Reply

scroll to top