কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-আন্দোলনে হামলা এবং তিনজনকে হত্যার অভিযোগে আবারো সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৬৫ জনের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ছাত্র আন্দোলনে আহত তরিকুল ইসলাম বাদী হয়ে গত ২৪ মার্চ (সোমবার) কিশোরগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাত আরও ১৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
বাদী তরিকুল ইসলাম নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে। তিনি কিশোরগঞ্জ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে গুরুদয়াল সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষে পড়াশোনা করেন। গত ২০২৪ সালের ৪ই আগস্ট ছাত্র আন্দোলনের সময় তিনি আহত হয়েছিলেন বলে জানান।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কিশোরগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এ নিয়ে গত ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শুধু সদর থানায় আরো ১৫টির মতো মামলা করা হয়েছে।
জেলা পুলিশ সূত্র জানায়, ৫ আগস্ট থেকে এখন পর্যন্ত সদর থানায় ১৫টি সহ ১৩ উপজেলায় অর্ধশতাধিক মামলা হয়েছে। এসব মামলায় প্রায় ৫ হাজার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ১০ হাজারের বেশি মানুষকে আসামি করা হয়েছে।
নতুন এই মামলার প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। মামলায় উল্লেখযোগ্য বাকী আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদ, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, কিশোরগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু,জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা সুমন ও সাধারণ সম্পাদক ফয়েজ ওমান খান, সাবেক সভাপতি লিমন ঢালী, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বাচ্চু,কিশোরগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহমুদ পারভেজ, সদর আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন সহ আরো অনেকে।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৪ আগস্ট বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কিশোরগঞ্জ শহরের আখড়া বাজার ব্রিজ থেকে শহীদি মসজিদ এলাকায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় হত্যার উদ্দেশ্যে অস্ত্রসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হয়। এ সময় বাদী তরিকুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধসহ নানাভাবে আহত হয়। ওই ঘটনায় ৩ জন নিহতও হন।