এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে জয়পুরহাটের কালাই সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গনে দুইদিন ব্যাপী শীতের পিঠা উৎসব ও বইমেলা উদ্ধোধন করা হয়েছে। এ মেলা চলবে ৩১ জানুয়ারী ও ১ ফেব্রুয়ারী পর্যন্ত।
সরকারি মহিলা কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই উৎসব এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা ও আনন্দের সঞ্চার করে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বিকেলে কালাই উপজেলা নির্বাহী (ইউএনও) অফিসার মোছা. শামিমা আক্তার জাহান ফিতা কেটে মেলার উদ্বোধন করেন ।
উদ্বোধন শেষে ইউএনও মোছা. শামিমা আক্তার জাহান ১৪ টি পিঠা ও বইয়ের স্টল পরিদর্শন করেন। পিঠা উৎসবে বাহারি পিঠা প্রদর্শনীর আয়োজন করে জাতীয় মহিলা সংস্থা, তৃণমূল পর্যায়ে নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নে নারী উদ্যোগক্তাদের বিকাশ সাধন প্রকল্পের উদ্যোগতারা। দুই দিনব্যাপী পিঠা মেলার পাশাপাশি বই মেলার আয়োজন করা হয়।
পিঠাপুলির মধ্যে ছিল মুগ পাকন, নারিকেল নাড়ু, মতিচুর, শামুক পিঠা, বুটের বরফি, ক্ষীর পাটি সাপটা, লাড্ডু, অন্নদা,পুডিং, জামাই পিঠা, বউ সুন্দরী পিঠা, ভাজা পুলি, চমচম পিঠা, নুনের পিঠা, গাজরের পিঠা প্রভৃতি।
কালাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোছা. শামিমা আক্তার জাহান বলেন, এই বইমেলা শিক্ষার্থীদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি করবে এবং আমাদের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে আরও শক্তিশালী করবে বলে জানান তিনি ।
এই মেলায় এলাকাবাসী স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয় এবং মিলনমেলায় পরিণত হয়। আয়োজনটি শুধুমাত্র জ্ঞানচর্চা মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং এটি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের মিলনমঞ্চ হয়ে উঠেছে। উপজেলা প্রশাসনের এমন আয়োজন শিক্ষা সৃজনশীলতা বৃদ্ধি ও মননশীল চর্চাকে আরও উৎসাহিত করবে বলে আশা করা যায়।
মেলায় মিলন নামে এক ব্যক্তি এসে বলেন, এম মেলা আমরা চায় প্রত্যেক বছর হোক। এর মাধ্যমে আমাদের নতুন প্রাণের সঞ্চয় হচ্ছে। আমাদের এলাকার বিভিন্ন খাবার সম্পর্কে মানুষ জানতে পারছে। তাছাড়া অনেক খাবার আমাদের এলাকার সেটা আমি নিজেই জানি না। এই খাবারগুলো সম্পর্কে জানতে পারছি।
বই মেলা নিয়ে সাত্তার সাহেব জানান, আমি বলবো এমন বই মেলার আয়োজন প্রশাসন প্রতি বছর করুক। আমার ছেলেকে নিয়ে এখানে এসেছি। এর মাধ্যমে আমার ছেলের কিছু না হলেও বইয়ের প্রতি আগ্রহ তৈরি হচ্ছে। মোবাইলের প্রতি ছাত্র-ছাত্রীদের অসক্তি কাটাতে বই মেলার বিকল্প নেই বলে তিনি মনে করেন।