আমরা কখনো বলিনি, আগে নির্বাচন, পরে সংস্কার: মির্জা ফখরুল

New-Project-2-1.jpg
নিজস্ব প্রতিবেদক

“আমরা কখনো এ কথা বলিনি যে, আগে নির্বাচন, তার পরে সংস্কার। এটা যদি কেউ বলে, তাহলে ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে  বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বুধবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের কালিবাড়ি এলাকায় নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যারা সংস্কারে এসেছেন, খুব জ্ঞানী মানুষ, পণ্ডিত লোক, বিশাল বিশাল ইউনিভার্সিটি থেকে ডিগ্রি করে এসেছেন এবং তারা দিচ্ছেন। তাদেরকে আমরা শ্রদ্ধা করি এবং সম্মানও করি। কিন্তু তারা যদি জনগণের বাইরে গিয়ে কিছু (সংস্কার) করেন তাহলে ‘‘সরি টু সে’’ আমরা সেটাকে সমর্থন করতে পারব না। জনগণ যেটা চাইবে আমরা সেটাকে সমর্থন করব।’

বিএনপিকে টার্গেট করা হচ্ছে দাবি করে দলের মহাসচিব বলেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিএনপিকে প্রতিটি সময় টার্গেট করে প্রচারণা করা হচ্ছে যে বিএনপি আগে নির্বাচন চায়, তারপর সংস্কার চায়। অথবা সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। যা একবারে মিথ্যা। আমি সরাসরি বলতে চাই, এটা একটি ভুল ধারণা সৃষ্টি করা হচ্ছে জনগণের মাঝে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা সুশাসনের জন্য ও রাষ্ট্র পরিচালনার জন্যে। এটাই একমাত্র ব্যবস্থা, যেখানে মানুষের বক্তব্য বিবেচনায় নেওয়া হয়, নির্বাচিত সরকার দেশ চালায়। এই যে আমরা একটা ভয়ে থাকি যে, রাজনৈতিক দলগুলো স্বৈরাচার হয়ে যায়। স্বৈরাচার হলে আওয়ামী লীগের মতো অবস্থা হবে। সুতরাং, এখানে গণতন্ত্রের কোনো দোষ নেই। গণতন্ত্রই শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা, তা না হলে আওয়ামী লীগের মতোই অবস্থা হবে, ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে। বিএনপির সময়ে কখনো ফ্যাসিবাদের উত্থান হয়নি বা কর্তৃত্ববাদের উত্থান হয়নি।

সংস্কার বিষয়ে বিএনপির অবস্থান নিয়ে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে, অভিযোগ করে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশজুড়ে একটা প্রচারণা চালানো হচ্ছে যে, বিএনপি আগে নির্বাচন চায়। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। আমরাই সংস্কারের প্রবক্তা, আমরাই সংস্কার চেয়েছি।

গণতন্ত্রই মূল- দাবি করে মহাসচিব বলেন, ‘গণতন্ত্রই হচ্ছে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য শ্রেষ্ঠ ব্যবস্থা। এখানে কোনো রাজনৈকিত দল ক্ষমতায় আসার পরে যদি স্বৈরাচার হয়ে ওঠে তাহলে জনগণই তাদের বের করে দেয়। যার বাস্তব প্রমাণ আওয়ামী লীগ।’

এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওবায়দুল্লাহ মাসুদ, অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাসুদুল ইসলাম মুন্না, সদস্য সচিব কামরুজ্জামান কামু, যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদ হাসান, ছাত্রদলের সভাপতি মোহাম্মদ কায়েসসহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

Leave a Reply

scroll to top