জাতীয় যুব সংহতির ভোলা জেলা শাখার নতুন কমিটি ঘোষণা প্রায় চূড়ান্ত। দলীয় সূত্র বলছে, যে কোনো সময়ই প্রকাশ হতে পারে পূর্ণাঙ্গ কমিটির তালিকা। যদিও এখন পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে কারা আসছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়নি, তবে নতুন কমিটির প্রস্তাবিত তালিকা বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি) চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিভ রহমান পার্থের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।
দলীয় সূত্রের খবর
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সাংগঠনিক পুনর্গঠনের অংশ হিসেবে গতিশীল ও ত্যাগী নেতাদের দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে বিলুপ্ত কমিটির জায়গায় নতুন নেতৃত্ব আনতে ভোলার রাজনৈতিক মাটিতে আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় থাকা নেতাদের নাম চূড়ান্ত পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে। এই প্রক্রিয়ায় সিনিয়র নেতাদের মতামতও গুরুত্ব সহকারে নেওয়া হয়েছে।
আলোচনায় যারা
কমিটির নেতৃত্বে আসার সম্ভাব্যদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন—বিলুপ্ত কমিটির সাবেক আহ্বায়ক নূরে আলম সিদ্দিকী টিটু, সাবেক ছাত্র সমাজ নেতা মো. আনোয়ার হোসেন, মাঈনুল মিঝি, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মাকসুদ, মো. আবু তাহের, মীর শাওন, মো. সোহাগ (মাঝি) ও ইসমাইল হোসেন আরিফসহ আরও অনেকে। দলের তরুণ ও পরীক্ষিত নেতাদের সমন্বয়ে একটি গতিশীল কমিটি গঠনের দিকেই অগ্রসর হচ্ছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
দলটির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, নতুন কমিটিতে থাকবে একঝাঁক নতুন মুখ, যাঁরা মাঠপর্যায়ে সক্রিয় ও ত্যাগী হিসেবে পরিচিত। একই সঙ্গে দলের পুরনো, পরীক্ষিত ও অভিজ্ঞ নেতাদেরকেও গুরুত্ব দিয়ে ভারসাম্যপূর্ণ একটি নেতৃত্ব গঠনের চেষ্টা চলছে। এ উপলক্ষে অনেক পদপ্রত্যাশী ইতোমধ্যে জেলার বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি, শোডাউন ও তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নিচ্ছেন।
সদস্যদের বক্তব্য
এই বিষয়ে জানতে চাইলে ভোলা জেলা জাতীয় ছাত্র সমাজের সাবেক সদস্য সচিব মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, “সংগঠনের পুনর্গঠন একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা দলের চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখি এবং বিশ্বাস করি, তিনি সঠিক নেতৃত্ব বেছে নেবেন।”
অন্যদিকে সাবেক ছাত্র নেতা মীর শাওন বলেন, “বিজেপি একটি আদর্শিক দল, আর চেয়ারম্যান পার্থ ভাইয়ের নেতৃত্বে আমরা গর্বিত। দলের জন্য কার কী ত্যাগ ও অবদান আছে, তিনি তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেন। নতুন কমিটি নিয়ে কোনো বিরোধ নেই, আমরা সবাই তাঁর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।”
নতুন নেতৃত্ব ঘোষণার মাধ্যমে ভোলা জেলা যুব সংহতির রাজনীতিতে নতুন গতি আসবে—এমনটাই প্রত্যাশা করছেন তৃণমূল নেতাকর্মীরা।