ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি শেষে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছেন কর্মজীবী মানুষ। গত কয়েক দিনের তুলনায় আজ বুধবার (১১ জুন) থেকেই রাজধানীমুখী যাত্রীদের চাপ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। রাজধানীর প্রবেশদ্বার যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদসহ আশপাশের এলাকাগুলোতে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা বাসগুলোতে পূর্ণ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে।
এবার ঈদুল আজহা উপলক্ষে সরকারি কর্মচারীরা টানা ১০ দিনের ছুটি উপভোগ করছেন, যা গত ৫ জুন শুরু হয়েছে এবং আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে। এই দীর্ঘ ছুটির কারণে ঈদের পরপর তিনদিন রাজধানীতে ফেরা যাত্রীদের চাপ তেমনটা দেখা যায়নি। তবে সড়ক পরিবহন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত কয়েকদিনের তুলনায় আজ বুধবার যাত্রীর সংখ্যা বেশি।
বাস মালিক ও শ্রমিকদের ধারণা, ঢাকা ফেরা যাত্রীদের চাপ বৃহস্পতি, শুক্র ও শনিবার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছাতে পারে। এর প্রধান কারণ হলো, আগামী রোববার (১৫ জুন) থেকে সরকারি ও বেসরকারি সকল অফিস এবং শিল্প প্রতিষ্ঠান খুলবে।
দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ঈদ ফেরত যাত্রীদের পোস্তগোলা, জুরাইন, ধোলাইপাড়, যাত্রাবাড়ী, সায়েদাবাদ, রায়েরবাগ, শনির আখড়া, মেডিকেল, কাজলাসহ আশেপাশের এলাকাগুলোতে বাস থেকে নামতে দেখা গেছে। এই এলাকাগুলো এখন ঢাকা ফেরা মানুষের আনাগোনায় মুখরিত।
বাস থেকে নেমে বেশিরভাগ যাত্রীই সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন সহজেই পেয়ে যাচ্ছেন। তবে তাদের অভিযোগ, গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে।
কুমিল্লা থেকে বাসে ঢাকায় ফেরা শাহনাজ বেগম জানান, সায়েদাবাদ থেকে সিপাহীবাগ যেতে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ৫০০ টাকা ভাড়া চাইছে, যেখানে সাধারণত ভাড়া সর্বোচ্চ আড়াইশ টাকা। তিনি বলেন, “গাড়ি আছে অনেক কিন্তু ভাড়া বেশি চাচ্ছে।”
বুধবার সকাল ৯টা ৫ মিনিটে ঢাকা-কোম্পানীগঞ্জ-নবীনগর রুটে চলাচল করা গোমতী এক্সপ্রেসের একটি বাস যাত্রাবাড়ীর জনপথ মোড়ে এসে থামে। বাসটি যাত্রীতে পূর্ণ ছিল এবং বেশিরভাগ যাত্রীই এখানেই নেমে যান। ঢাকা-চাঁদপুর রুটে চলাচল করা আল আরাফা এক্সপ্রেসের চালক শহিদুল ইসলাম বলেন, “ঢাকায় আসা যাত্রী বেড়েছে। গাড়ি মোটামুটি ভরেই ঢাকায় এসেছি। রাস্তায় কোনো ঝামেলাও হয়নি।”
সব মিলিয়ে, ঈদের আনন্দ শেষে রাজধানীতে কর্মচঞ্চলতা ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছেন হাজার হাজার মানুষ, যার ফলে রাজধানীর প্রধান প্রবেশপথগুলোতে বাড়ছে যাত্রীর চাপ।