ঈদুল আজহার আর মাত্র কয়েক দিন বাকি। মুসলিম উম্মাহর এই মহান ধর্মীয় উৎসবকে ঘিরে দেশজুড়ে চলছে ব্যাপক প্রস্তুতি। পশুর হাট, ঈদের জামাত, আর কোরবানির আয়োজন নিয়ে সবাই মেতে উঠেছে। কিন্তু মনের কোণে একটাই চিন্তা—বৃষ্টি কি ঈদের আনন্দ ম্লান করে দেবে? বর্ষার মৌসুমে আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়ে অনেকেরই কপালে চিন্তার ভাঁজ।
গত কয়েক দিন ধরে গভীর নিম্নচাপ আর মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর ঈদের সময়ের আবহাওয়ার একটি পূর্বাভাস দিয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২ জুনের পর থেকে সারা দেশে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তবে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টির তীব্রতা তুলনামূলক কম হবে। ঈদের দিন (৭ জুন, শনিবার) সারা দেশেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ঈদের তিন দিন আগে আরও সুনির্দিষ্ট পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব হবে।
আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, “বর্তমানে মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকায় আগামী কয়েক দিন দেশের বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হবে। ঘূর্ণিঝড় বা লঘুচাপের কোনো আভাস নেই। ঢাকা, সিলেট, বরিশাল, খুলনা, ও চট্টগ্রামে এক-দুই পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “ঈদের সময় বৃষ্টি কিছুটা কমলেও একেবারে থামবে না। তবে উত্তরাঞ্চলে বৃষ্টির পরিমাণ কম হবে।”
ঈদের সময় তাপমাত্রা ৩২ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করবে। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে। আবহাওয়াবিদ মল্লিক বলেন, “জলীয় বাষ্পের কারণে গরম বেশি মনে হবে। সপ্তাহের শেষের দিকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।”
বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকলেও আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। পশুর হাটে ছাউনির ব্যবস্থা, কোরবানির জন্য উপযুক্ত স্থান নির্বাচন, এবং ঈদের জামাতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখলে আনন্দ অটুট থাকবে। ইসলামিক ফাউন্ডেশনের তথ্য অনুযায়ী, ঈদের নামাজ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পিছিয়ে দিলে ১২ জিলহজ পর্যন্ত আদায় করা যায়।
ঈদুল আজহা ২০২৫ বাংলাদেশে সম্ভাব্য ৭ জুন, শনিবার পালিত হবে। এ সময় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি ও ভ্যাপসা গরম থাকতে পারে। তবে প্রস্তুতি ও সতর্কতার মাধ্যমে ঈদের আনন্দ পূর্ণাঙ্গভাবে উপভোগ করা সম্ভব। সবাইকে ঈদের অগ্রিম শুভেচ্ছা।