বাড়ি যাতায়াতের একমাত্র রাস্তাটি যদি প্রতিবেশীর জমির ওপর হয়, এবং সেই প্রতিবেশী যদি হঠাৎ করে রাস্তা আটকে দেন বা অহেতুক বিরোধ তৈরি করেন, তাহলে পরিস্থিতি হয়ে উঠতে পারে অত্যন্ত দুর্বিষহ। এ ধরনের সমস্যায় কী করণীয়—তা নিয়ে সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় বিস্তারিত পরামর্শ দিয়েছেন ব্যারিস্টার লিমা আঞ্জুমান।
তিনি বলেন, “প্রথমেই চেষ্টা করবেন বিষয়টি শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসার। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি, যেমন ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার বা এলাকার প্রবীণদের সঙ্গে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা উচিত।”
তবে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান না এলে দ্বিতীয় ধাপে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার কথা বলেন তিনি। এর মাধ্যমে সমস্যার একটি প্রাথমিক সমাধান পাওয়া সম্ভব।
তৃতীয় ও চূড়ান্ত ধাপে যদি পুলিশি হস্তক্ষেপেও সমস্যার সমাধান না হয়, তবে ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে যাওয়ার পরামর্শ দেন ব্যারিস্টার লিমা। তিনি জানান, “দেওয়ানি কার্যবিধির ১৪৫ ধারায় মামলা করলে আদালত জমি বা রাস্তাঘাট নিয়ে বিরোধে হস্তক্ষেপ করতে পারেন।”
এছাড়া তিনি উল্লেখ করেন, যদি কেউ দীর্ঘদিন ধরে একটি রাস্তা ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে ‘প্রেসক্রিপশন’ আইনের ভিত্তিতে সেই রাস্তার ওপর ব্যবহারিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
বাংলাদেশের গ্রাম-গঞ্জে এ ধরনের রাস্তা নিয়ে বিরোধ নতুন নয়। বহু মানুষ এ ধরনের সমস্যা নিয়ে বছর বছর হয়রানির শিকার হন। তাই আইনের আশ্রয় নেওয়ার পাশাপাশি শুরুতেই আলোচনা ও সমঝোতার পথে হাঁটাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ।