আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা আগামী ৭ জুন (শনিবার) উদযাপিত হবে। ঈদের দিন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সাথে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে, অর্থাৎ গরমের অনুভূতি বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আফরোজা সুলতানার স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। এই আবহাওয়ার প্রভাবে আজ (৪ জুন) থেকে আগামী রোববার (৮ জুন) সকাল পর্যন্ত দেশের সব বিভাগেই অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো এবং হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
ঈদের দিন অর্থাৎ ৭ জুন (শনিবার) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো বা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এই সময়ে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এর পাশাপাশি, আগামী দু’দিনের মধ্যে দেশের কোথাও কোথাও ভারী বর্ষণও হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এই দিন সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
অন্যদিকে, শুক্রবার (৬ জুন) রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বিদ্যুৎ চমকানো অথবা হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এই দিন সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
সুতরাং, ঈদের নামাজ ও অন্যান্য কার্যক্রমে বের হওয়ার সময় ছাতা বা রেইনকোট সঙ্গে রাখার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে যেন কোনো ধরনের অসুবিধার সম্মুখীন না হতে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।