উজবেকিস্তান জাতীয় ফুটবল দল তাদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপের মূল পর্বে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে। দেশটির রাজধানী তাসখন্দে অনুষ্ঠিত এশিয়ান বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে কাতারকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে উজবেকিস্তান। এই জয়ের মধ্য দিয়ে ২০২৬ ফিফা বিশ্বকাপে খেলার টিকিট নিশ্চিত করেছে দেশটি। এটি দেশটির ক্রীড়া ও জাতীয় গৌরবের এক উল্লেখযোগ্য অধ্যায়ই বলা চলে।
এমন জয়ের পর বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা উজবেকিস্তান দলের সব সদস্যই পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা। এই ঐতিহাসিক অর্জন উপলক্ষে, জাতীয় দলের সকল খেলোয়াড়, কোচ ও কোচিং স্টাফদের চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান BYD-এর তৈরি প্রায় ৩০টি বিলাসবহুল ‘চ্যাম্পিয়ন কার’ উপহার দিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিওয়েভ।
এশিয়ান অঞ্চলের বাছাইপর্বে এক রাউন্ড বাকি থাকতেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গে ড্র করার মাধ্যমে উজবেকিস্তান প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করে। টিমুর কাপাদজের অধীনে দলটির এই ঐতিহাসিক সাফল্য রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি পেয়েছে। উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শভকাত মিরজিওয়েভ একটি ডিক্রি স্বাক্ষর করেছেন, যার মাধ্যমে জাতীয় দলের একাধিক খেলোয়াড় ও কোচকে সম্মানসূচক উপাধি, মেডেল এবং বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় পুরস্কার প্রদান করা হবে। উজবেকিস্তানের এই সাফল্য উদযাপিত হয়েছে দেশব্যাপী।
জাতীয় দলের প্রধান কোচ তিমুর কাপাদজে বলেন, “আমাদের দল দীর্ঘদিন ধরে একত্রে পরিশ্রম করেছে এবং দেশের জন্য ইতিহাস তৈরি করেছে। এই গাড়ি শুধু একটি উপহার নয়, এটি আমাদের স্বপ্ন ও পরিশ্রমের পুরস্কার।”
২০২৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকো একত্রে আয়োজক হিসেবে থাকবেন, যেখানে এবার ৪৮টি দেশ অংশগ্রহণ করবে। এই বিস্তৃত আসরে উজবেকিস্তান তাদের প্রতিভা বিশ্বমঞ্চে তুলে ধরবে বলে ফুটবল বিশ্লেষকরা আশাবাদী।
উজবেকিস্তানের এই ঐতিহাসিক সাফল্য কেবল ক্রীড়া ক্ষেত্রেই নয়, সামগ্রিক জাতীয় গৌরবের জন্যও বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। দেশ এখন বিশ্বকাপের প্রস্তুতি শুরু করেছে এবং আশা করা যাচ্ছে, তাদের এই যাত্রা নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের জন্য উৎসাহের উৎস হয়ে থাকবে।
প্রসঙ্গত, BYD-এর তৈরি এই বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো শুধু বিলাসবহুল নয়, পরিবেশ বান্ধব প্রযুক্তিতে সজ্জিত, যা আধুনিক ও টেকসই মোবিলিটির প্রতিনিধিত্ব করে। রাষ্ট্রপতি মিরজিওয়েভ নিজে হাতে এসব গাড়ির চাবি তুলে দিয়ে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করেন এবং বলেন, “আপনাদের এই সাফল্য আমাদের দেশের জন্য অহংকারের বিষয়। এটি শুধু একটি খেলা নয়, এটি আমাদের জাতীয় পরিচয়ের অংশ।”
