ভেড়ামারায় অবৈধ বালু উত্তোলন রোধে উপজেলা প্রশাসনের অভিযান

New-Project-4.jpg

পুলিশের অভিযান

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ কুষ্টিয়া প্রতিনিধি

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। শনিবার (৩১ মে) দুপুরে পদ্মা নদীর হার্ডিঞ্জ ব্রিজ ও লালন শাহ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

অভিযান চলাকালে বালু নিয়ন্ত্রণের জন্য গড়ে তোলা একটি অবৈধ ঘর ভেঙে দেওয়া হয়। তবে বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত কাউকে ঘটনাস্থলে পাওয়া যায়নি। স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের উপস্থিতির খবর আগেই পেয়ে সংশ্লিষ্টরা পালিয়ে যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, বাহিরচর ইউনিয়নের তোরিয়া মহলে অভিযান পরিচালিত হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, হার্ডিঞ্জ ও লালন শাহ ব্রিজের মাঝামাঝি এলাকায় মেশিনের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে ঘটনাস্থলে গিয়ে এমন কোনো সরাসরি আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “এই এলাকা তোরিয়া মহল হিসেবে চিহ্নিত, এটি কোনো অনুমোদিত বালু মহল নয়। এখানে লালপুর থেকে নৌকায় করে আনা বালি শুধু আনলোড করা হয়। তাই এ এলাকায় বালু উত্তোলনের সুযোগ নেই।”

তিনি আরও জানান, এর আগেও ভেড়ামারা উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে অবৈধ বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ৩০টি মামলা দিয়ে প্রায় ১১ লাখ টাকা জরিমানা এবং ১২ জনকে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতেও এ ধরনের অপরাধে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনোয়ার হোসাইন জানান, ব্রিজের পাশেই বালু নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি ঘর নির্মাণ করা হয়েছিল, যা অভিযান চালিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “পদ্মা নদী থেকে বালু উত্তোলনের ওপর উচ্চ আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, তাই এ অঞ্চলে বালি তোলার কোনো অনুমতি নেই।”

তিনি আরও বলেন, উপজেলা প্রশাসনের অভিযান চলমান রয়েছে এবং দিন-রাত যেকোনো সময় বালু উত্তোলনের খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গেই অভিযান পরিচালনা করা হবে। অবৈধ বালু উত্তোলনকারীদের কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলাম এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনোয়ার হোসাইন। অভিযান পরিচালনায় সহযোগিতা করে ভেড়ামারা থানা পুলিশ।

Leave a Reply

scroll to top