বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহনও নিরাপদ নয়: শিক্ষার্থীদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া

New-Project-1-22.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ ঢাবি প্রতিনিধি :

উত্তরার আজমপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ক্ষণিকা পরিবহনের বাসে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। আহতদের প্রতি সহমর্মিতা জানিয়ে শিক্ষার্থীরা প্রশ্ন তুলছেন—”বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কোথায়?”

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা গাজীপুর যাচ্ছিলাম। হঠাৎ উত্তরা এলাকায় রাস্তা অবরোধ দেখে বাসটি থামে। এরপর কিছু উগ্র তরুণ বাসে চড়াও হয়। আমাদের সিনিয়র ভাইদের মারধর শুরু করে। আমরা বাধা দিতে গেলে আমাদেরও ইট, লাঠি, কাঠ দিয়ে মারতে থাকে।”

আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে কয়েকজন বর্তমানে উত্তরা ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। একজনের অবস্থা গুরুতর। তার মাথায় ও বুকে আঘাত লেগেছে বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা ভীষণ ক্ষুব্ধ। তারা প্রশাসনের দ্রুত ব্যবস্থা দাবি করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী সাদিয়া ইসলাম বলেন, “প্রতিনিয়ত চলাফেরার সময় অনিরাপত্তা বোধ করি। আজকের ঘটনার পর আমরা আরও আতঙ্কিত। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সাইফুদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান “ঘটনাটি বিশ্ববিদ্যালয় টার্গেট করে করা হয়নি। তবে আমাদের বাস ঘটনাস্থলে থাকায় আক্রান্ত হয়। আহতদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষার্থীরা থানায় জিডি করতে যাচ্ছে।”

তবে শিক্ষার্থীরা এ বক্তব্যে সন্তুষ্ট নন। তাদের ভাষ্য, “উল্লেখযোগ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকলে আবারও এমন ঘটনা ঘটতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব পরিবহনেও যদি নিরাপদ না থাকি, তাহলে চলাফেরা করবো কীভাবে?”

দ্রুত বিচার ও নিরাপদ যাতায়াতের দাবিতে শিক্ষার্থীরা বুধবার ক্যাম্পাসে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

Leave a Reply

scroll to top