মধ্যপ্রাচ্যে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে চলমান নজিরবিহীন সংঘাতের তীব্রতার মধ্যে যুক্তরাজ্য সরকার নাগরিকদের ইসরায়েল ভ্রমণ থেকে সম্পূর্ণরূপে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র দপ্তর এক হালনাগাদ নির্দেশনায় পরিস্থিতিকে ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল’ এবং ‘গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করছে’ বলে উল্লেখ করেছে। এটি মাত্র দু’দিন আগে জারি করা ‘অত্যাবশ্যক ভ্রমণের’ পরামর্শ থেকে সরে আসার ইঙ্গিত দেয়।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ইসরায়েলের পরিস্থিতি হঠাৎ করে এবং খুব দ্রুত আরও অবনতির দিকে যেতে পারে। এই মুহূর্তে ইসরায়েলের আকাশপথ তিন দিন ধরে বন্ধ রয়েছে, যা দেশটিতে প্রবেশ ও বাহির হওয়া অসম্ভব করে তুলেছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক পাল্টাপাল্টি হামলার ফলেই এমন অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইরানের রাজধানী তেহরানে একের পর এক শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে এবং সেখানে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে। মাত্র কয়েক মিনিট আগেও কমপক্ষে দুটি শক্তিশালী বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে, যা ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত থাকার ইঙ্গিত দেয়। একই সময়ে ইরানও ইসরায়েলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলা চালিয়ে যাচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এদিকে, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) সতর্ক করেছে যে ইরান আগামী দিনগুলোতে আরও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাতে পারে। এক সংবাদ সম্মেলনে আইডিএফ-এর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এফি ডেফরিন বলেন, “চ্যালেঞ্জিং দিন সামনে আসছে। আগামী দিনগুলোতে আরও ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ এবং আঘাতের আশঙ্কা রয়েছে।” তার এই মন্তব্য চলমান সংঘাতের তীব্রতা এবং এর সম্ভাব্য বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ বাড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই সংঘাত আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি তৈরি করছে এবং বিশ্বজুড়ে এর প্রভাব পড়তে পারে। যুক্তরাজ্য সরকারের এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার একটি পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে।