ড. ইউনূসের সঙ্গে যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার বৈঠক

New-Project-2025-06-11T165909.588.png

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তাঁর যুক্তরাজ্য সফরে খুব ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। আজ বুধবার (১১ জুন) সকালে লন্ডনে তিনি যুক্তরাজ্যের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জনাথন পাওয়েলের সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে মিলিত হন। একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠকের পর ড. ইউনূস আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন থিঙ্ক ট্যাঙ্ক চ্যাথাম হাউজের এশিয়া-প্যাসিফিক প্রোগ্রামের পরিচালক বেন ব্ল্যান্ড এবং দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক জ্যেষ্ঠ গবেষক ড. চিয়েতিগজ বাজপেইয়ের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

দিনের অন্যতম প্রধান ইভেন্ট ছিল বেলা ১১টায় চ্যাথাম হাউসের মূল হলে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ বক্তৃতা। এই বক্তৃতায় তিনি বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক-অর্থনৈতিক অগ্রগতি, গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়া এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন। আন্তর্জাতিক শ্রোতাদের সামনে বাংলাদেশের সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরার এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ ছিল।

বক্তৃতা শেষে দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে চ্যাথাম হাউসের ম্যালকম রুমে প্রধান উপদেষ্টার সম্মানে একটি সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়, যেখানে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, গবেষক এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

দিনের শেষে সন্ধ্যা ৬টায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সেন্ট জেমস প্যালেসে ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে কিংস ফাউন্ডেশনের ৩৫তম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজে অংশ নেবেন। এটি তার যুক্তরাজ্য সফরের অন্যতম আকর্ষণীয় অংশ, যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে, মঙ্গলবার তার সফরের প্রথম দিনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে কমনওয়েলথের মহাসচিব শার্লি আয়োরকর বচওয়ে বৈঠক করেন। এই বৈঠকে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতা এবং পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।

এছাড়াও, সফরের প্রথম দিনে ব্রিটিশ অল-পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সদস্যরা, মেনজিস অ্যাভিয়েশনের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং এয়ারবাসের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্টও ড. ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এসব বৈঠকে বিভিন্ন বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।

ড. ইউনূসের এই যুক্তরাজ্য সফর বাংলাদেশের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে এবং বিভিন্ন খাতে সম্পর্ক জোরদারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

scroll to top