ঈদযাত্রায় ঘরমুখো মানুষের ঢল

ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে যানবাহনের চাপ

New-Project-2025-06-04T151429.904.png

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের ঢল নামতে শুরু করেছে। এর প্রভাব পড়েছে উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে। আজ বুধবার (৪ জুন) সকাল থেকেই এই মহাসড়কে যানবাহনের চাপ উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে যানবাহনের চাপ বাড়লেও এখন পর্যন্ত স্বস্তিদায়কভাবে গাড়ি চলাচল করছে এবং কোনো বড় ধরনের যানজটের খবর পাওয়া যায়নি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কে স্বাভাবিকের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি যানবাহন চলাচল করছে। বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের দিকে যাওয়া গাড়িগুলোতে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে, যা গণপরিবহনের সংকটের ইঙ্গিত দেয়। এর বিপরীতে, উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকার দিকে ফেরা গাড়িগুলো তুলনামূলকভাবে খালি দেখা গেছে।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন ও স্বস্তিদায়ক করতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কের গোড়াই থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ৬৫ কিলোমিটার এলাকায় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশের প্রায় ৬০০ সদস্য সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনীও সড়কে অবস্থান নিয়েছে। বুধবার সকালে জেলা প্রশাসক শরীফা হক মহাসড়কের বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন।

যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় (২ জুন রাত ১২টা থেকে ৩ জুন রাত ১২টা পর্যন্ত) ৩৩ হাজার ৫৬৪টি যানবাহন যমুনা সেতু পারাপার হয়েছে। এই সময়ে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৮৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯ টাকা।

যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, উত্তরবঙ্গগামী ১৭ হাজার ৬৫৭টি যানবাহন থেকে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৮২ হাজার ৮৫০ টাকা এবং ঢাকাগামী ১৫ হাজার ৯০৭টি যানবাহন থেকে ১ কোটি ৪১ লাখ ৮১ হাজার ৫০ টাকা টোল আদায় করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ঈদযাত্রায় যানজট নিরসনে যমুনা সেতুর দুই পাশে ৯টি করে মোট ১৮টি বুথ দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। এর মধ্যে উভয় দিকেই দুটি করে বুথ মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা করা হয়েছে। এছাড়া, মহাসড়কের এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক শরীফা হক বলেন, “এখন পর্যন্ত ভোগান্তি ছাড়াই মানুষ বাড়ি যেতে পারছে। তবে আগের তুলনায় মহাসড়কে যানবাহনের চাপ বেড়েছে।”

উল্লেখ্য, উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার এই মহাসড়ক দিয়ে উত্তরবঙ্গ ও দক্ষিণবঙ্গের প্রায় ২৩টি জেলার ৯৮টি রুটের পরিবহন চলাচল করে, যা ঈদ মৌসুমে এই মহাসড়কের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে তোলে।

Leave a Reply

scroll to top