ঈদুল আজহার ছুটিতে পদ্মা বহুমুখী সেতু এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যমুনা সেতু, এই দুটি বৃহৎ সেতু থেকে প্রায় ৫৯ কোটি ৭৭ লাখ ২৯ হাজার ৫০ টাকার বিশাল অঙ্কের টোল আদায় করা হয়েছে। আজ রোববার (১৫ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেতু বিভাগের সচিব এম আব্দুর রউফ। এই বিপুল পরিমাণ টোল আদায় দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থায় দুই সেতুর ক্রমবর্ধমান গুরুত্বের প্রতিফলন।
সচিব এম আব্দুর রউফ জানান, এবারের ঈদুল আজহার ছুটিতে পদ্মা ও যমুনা সেতু দিয়ে সর্বাধিক সংখ্যক যানবাহন পারাপার হয়েছে। ঈদযাত্রীদের নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে এবং টোল প্লাজাগুলোতে সময় কমাতে সেতুগুলোতে ইলেকট্রনিক টোল সংগ্রহ (ETC) পদ্ধতি চালু করা হয়েছে, যা এবারের ঈদযাত্রায় অনেকটাই সহায়ক হয়েছে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, যানবাহনের দ্রুত পারাপার নিশ্চিত করতে ইতিমধ্যে ছয়টি সংস্থার সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষর করা হয়েছে। এর ফলে, ভবিষ্যতে অ্যাপের মাধ্যমে টোল পরিশোধ করে আরও দ্রুত সেতু পার হওয়া সম্ভব হবে, যা আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে আরও গতিশীল করবে।
সূত্র অনুযায়ী, গত ৫ জুন পদ্মা ও যমুনা সেতু উভয়ই তাদের সর্বোচ্চ দৈনিক টোল সংগ্রহ ও যানবাহন পারাপারের রেকর্ড স্থাপন করেছে। এই একদিনেই পদ্মা বহুমুখী সেতু থেকে ৫ কোটি ৪৩ লাখ ২৮ হাজার টাকা টোল আদায় করা হয়, যা একটি নতুন মাইলফলক। একই দিনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যমুনা সেতু থেকে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকার টোল আদায় হয়েছে।
৫ জুন যমুনা সেতু দিয়ে ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন এবং পদ্মা সেতু দিয়ে ৫২ হাজার ৪৮৭টি যানবাহন অতিক্রম করে, যা এই দুটি সেতুর ওপর দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের বিপুল সংখ্যাকে নির্দেশ করে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই বিপুল পরিমাণ টোল আদায় শুধুমাত্র সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধিই করছে না, বরং এটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে এই দুটি সেতুর অপরিহার্য ভূমিকার ইঙ্গিত দেয়। মসৃণ ও দ্রুত যোগাযোগ ব্যবস্থা ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন এবং সামগ্রিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে, যা দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
এছাড়া, সেতু দুটি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে চলেছে এবং ভবিষ্যতে এর ইতিবাচক প্রভাব আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
