চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) পঞ্চম সমাবর্তন উপলক্ষে নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নেওয়া হয়েছে বাড়তি সতর্কতা। আগামী ১৪ মে অনুষ্ঠেয় এই সমাবর্তনে অংশ নেবেন প্রায় ২৩ হাজার শিক্ষার্থী। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সমাবর্তন-সংলগ্ন সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ পরিচয়পত্র বহন বাধ্যতামূলক।
নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে QR কোডযুক্ত ডিজিটাল আইডি
বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজে (মঙ্গলবার, ৬ মে) প্রকাশিত এক ঘোষণায় বলা হয়েছে, পরিচয়পত্র না থাকলে বা হারিয়ে গেলে শিক্ষার্থীরা ডিজিটাল আইডি কার্ড সংগ্রহ করতে পারবেন। এই ডিজিটাল পরিচয়পত্রে QR কোড সংযুক্ত থাকবে, যা স্ক্যান করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শিক্ষার্থীদের পরিচয় যাচাই করতে পারবে।
ডিজিটাল আইডি সংগ্রহের প্রক্রিয়া
শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ওয়েবসাইট 🔗 https://apps.cu.ac.bd/id/digitalid.php থেকে নিজের Student ID এবং নিজের বা পিতার নামের যেকোনো পরপর চারটি অক্ষর লিখে আইডি কার্ডটি ইমেজ আকারে সংগ্রহ করতে পারবেন। এই আইডি ফোনে রাখতে হবে অথবা প্রিন্ট করে সঙ্গে রাখতে হবে।
তথ্য হালনাগাদ নিয়ে সতর্কতা
প্রশাসন জানিয়েছে, এই ডিজিটাল আইডি সিস্টেম এখনো একটি “work in progress” অবস্থায় আছে। বিশেষ করে ২০১৯-২০ সেশনের আগে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের তথ্য ও ছবি এখনও পুরোপুরি আপডেট হয়নি। ফলে কারো তথ্য না পাওয়া গেলে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কেন এই বাড়তি নিরাপত্তা?
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বড় ধরনের সমাবেশ হলে সাধারণত নিরাপত্তা ঝুঁকি বেড়ে যায়। বিশেষ করে ২০ হাজারের বেশি মানুষের উপস্থিতিতে অবাঞ্ছিত ব্যক্তি বা বহিরাগত ঢুকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। QR কোড ভিত্তিক যাচাইকরণ পদ্ধতির মাধ্যমে সেই ঝুঁকি হ্রাস করার চেষ্টা চলছে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি নির্দেশনা
- ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় অবশ্যই পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখতে হবে।
- পরিচয়পত্র না থাকলে আগেভাগে ডিজিটাল কার্ড সংগ্রহ করতে হবে।
- প্রিন্ট অথবা মোবাইল ফোনে সংরক্ষিত ইমেজ – যেকোনোভাবে এটি দেখানো যাবে।
- তথ্য না পেলে প্রশাসনের নির্ধারিত হেল্পডেস্কের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে অন্যতম বড় এই সমাবর্তনকে কেন্দ্র করে প্রশাসন যে নিরাপত্তা ও ব্যবস্থাপনার ওপর গুরুত্ব দিয়েছে, তা ইতিবাচক দৃষ্টান্ত। তবে প্রযুক্তিগত ঘাটতি, বিশেষত আইডি কার্ডের অসম্পূর্ণ তথ্য আপডেট—এটি দ্রুত সমাধান না হলে অনেকে ভোগান্তিতে পড়তে পারেন। শিক্ষার্থীদের তাই আগেভাগে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়েছে।