ইনিংস ব্যবধানে জয় টাইগারদের

New-Project-10-12.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

চট্টগ্রাম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে মেহেদী হাসান মিরাজের নায়কোচিত অলরাউন্ড নৈপুণ্যে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ইনিংস ও ১০৬ রানের বিশাল ব্যবধানে জিতল বাংলাদেশ। সমালোচনা এড়াতে বড়সড় জয়ের বিকল্প ছিল না বাংলাদেশ দলের। আগের ম্যাচে দুই ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়েও দলের হার দেখেছেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তাই এবার ব্যাট হাতে জ্বলে উঠলেন। সেঞ্চুরি হাকানোর পর বল হাতেও নিলেন ৫ উইকেট। মিরাজকে সঙ্গ দিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। আর তাতেই কুপোকাত জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় টেস্টে ইনিংস ও ১০৬ রান ব্যবধানে জিতেছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।

দ্বিতীয় টেস্টের সংক্ষিপ্ত স্কোর:

জিম্বাবুয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ৪৬.২ ওভারে ১১১/১০ (মুজারাবানি ৭*; মাসেকেসা ২, এনগারাভা ৫, কারান ৪৬, মাসাকাদজা ১০, বেনেট ৬, ওয়েলচ ০, উইলিয়ামস ৭, আরভিন ২৫, মাধেভেরে ০, সিগা ০) বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসে ১২৯.২ ওভারে ৪৪৪/১০ (হাসান ০*; এনামুল ৩৯, মুমিনুল ৩৩, সাদমান ১২০, শান্ত ২৩, জাকের ৫, মুশফিক ৪০, নাঈম ৩, তাইজুল ২০, সাকিব ৪১, মিরাজ ১০৪), লিড ২১৭ রান।  জিম্বাবুয়ে প্রথম ইনিংসে ৯০.১ ওভারে ২২৭/১০( সিগা ১৮*: বেনেট ২১, কারান ২১, আরভিন ৫, উইলিয়ামস ৬৭, মাধেভেরে ১৫, মাসাকাদজা ৬, এনগারাভা ০, মাসেকেসা ৮, ওয়েলচ ৫৪,মুজারাবানি ২)।

ম্যাচ রিপোর্ট

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ২২৭ রানে অল আউট হয়েছে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে দারুণভাবে জবাব দেয় বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিন সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে ভর করে ৩ উইকেটে ২০৫ রানে চা বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশ শেষ সেশনে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে। মুজারাবানির বলে এলবিডব্লু হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিন বছর পর টেস্ট দলে ফেরা এনামুল হক বিজয়। রান করেছেন ৩৯। এর পরই নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি তুলে নেন সাদমান। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি মুমিনুল। মাসাকাদজার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ভাঙে ৭৬ রানের জুটি। পরের ওভারের প্রথম বলেই রায়ান বেনেট এলবিডব্লু করলেন সাদমানকে। সাদমান ফিরে যান ১২০ রানে।

২৫৯ থেকে ২৭৯ রানে চার উইকেট হারায় বিকালের সেশনে। ৭ উইকেটে ২৯১ রানে দিনের খেলা শেষ করে তৃতীয় দিন লিড সমৃদ্ধ করার আশায় স্বাগতিক দল। মঙ্গলবার ৬৪ রানের লিড নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল শান্তর দল। ব্যাট করছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও তাইজুল ইসলাম।

মিরাজ উইকেটে এসেছিলেন ২৬৭ রানে দলের পাঁচ নম্বর উইকেটটা পড়ার পর। লিড ততক্ষণে মাত্র ৪০ রান। অপর প্রান্তে মুশফিকুর রহিম টিকতে পারেননি। তাইজুল ইসলামের সাথে গড়েছেন ৮৪ বলে ৬৩ রানের জুটি। স্টাম্পড হয়ে তাইজুল ফিরলে তানজিম সাকিব এসে যোগ দেন তার সাথে। সেখানেই এসেছে ইনিংসে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৬ রানের জুটি। নিজের ডেবিউ ম্যাচে মিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছিলেন তানজিম। অবশ্য ফিফটির দ্বারপ্রান্তে থেকে রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে শর্ট লেগে ক্যাচ না দিলে ইনিংস আরও বড়ও হতে পারত। তানজিম সাকিব ফিরে গেছেন ৪১ রানে।

১২৫তম ওভারে মাধেভেরের তৃতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন মিরাজ। সেঞ্চুরি করার পর বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না মিরাজ। ১২৯.২ ওভারে স্পিনার মাসেকেসাকে মারতে গিয়ে স্টাম্পিংয়ের শিকার হন। ১৬২ বলে ১০৪ রান করা মিরাজের আউটের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস।

টেস্ট অভিষেকেই ৫ উইকেট নিলেন জিম্বাবুয়ে স্পিনার ভিনসেন্ট মাসেকেসা। জিম্বাবুয়ে হয়ে টেস্ট অভিষেক ইনিংসে এর আগে ৫ উইকেট নিয়েছেন অ্যান্ডি ব্লিগনাট ও জন নিয়ুম্বু।

Leave a Reply

scroll to top