সাম্য হত্যায় গ্রেপ্তার তিনজনের ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর

New-Project-29-1.jpg

সাম্য হত্যায় গ্রেপ্তার তিনজন

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার তিন আসামির৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। শনিবার (১৭ মে) শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম শাহিন রেজা এই আদেশ দেন।

আসামিদের পরিচয়

  • তামিম হাওলাদার (৩০) – মাদারীপুর সদরের এরশাদ হাওলাদারের ছেলে
  • পলাশ সরদার (৩০) – কালাম সরদারের ছেলে
  • সম্রাট মল্লিক (২৮) – ডাসার থানার যতীন্দ্রনাথ মল্লিকের ছেলে

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার গ্রেফতার তিনজনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তৌফিক হাসান। তবে ওইদিন রিমান্ড আবেদন নাকচ করে তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। আজ পুনরায় শুনানি শেষে তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাদের প্রত্যেককে ৬ দিনের রিমান্ডে নিতে অনুমতি দেন।

ঘটনার পটভূমি

গত মঙ্গলবার মধ্যরাতে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মুক্তমঞ্চের পাশে সাম্যকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। জানা গেছে, মুক্তমঞ্চের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সাম্যর মোটরসাইকেলের সাথে আরেকটি মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। পরে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাম্যকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায় সহপাঠীরা। এরপর রাত সাড়ে বারোটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত সাম্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। স্যার এ এফ রহমান হলের ২২২ নম্বর কক্ষে থাকতেন তিনি। সাম্য এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার ধুকুরিয়ার বেড়া ইউনিয়নের সড়াতৈল গ্রামে। বাবার নাম ফখরুল আলম ফরহাদ।

মামলা ও তদন্ত

পরদিন সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক তৌফিক হাসান গ্রেপ্তার তিনজনের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পদক্ষেপ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই ঘটনায় সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খানকে।

এই হত্যাকাণ্ডের পর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এই মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে এবং পুলিশ অন্যান্য অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।

Leave a Reply

scroll to top