বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর নির্দেশনা চেয়ে দায়ের করা রিট হাইকোর্ট খারিজ করে দেওয়ার বিষয়ে উচ্চ আদালতের দেওয়া রায়কে জনগণের বিজয় বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) থাইল্যান্ডের ব্যাংককে চিকিৎসাধীন গণমাধ্যমের কাছে এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন বিএনপি মহাসচিব। বিএনপির মিডিয়া সেলের অন্যতম সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ইশরাককে মেয়র পদে শপথ পড়ানো নিয়ে আদালতের রায়ের পর কথা বলেন মির্জা ফখরুল। সেখানে মির্জা ফখরুল বলেন, উচ্চ আদালত তারা আইনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে যেটা হওয়া উচিত সেই ধরনের রায় দিয়েছেন। এই রায়ে জনগণের বিজয় হয়েছে, এটা নিঃসন্দেহে গণতন্ত্রের আরেকটা বিজয় হয়েছে। আমরা জানি যে, যখন মেয়র নির্বাচন হয় তখন সেটা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার জবরদস্তি করে এই ফল কেড়ে নিয়েছিলো। জনতার মেয়র হিসেবে ঢাকাবাসীসহ দেশের জনগণ ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করেছিলো।
তিনি আরও জানান, ইশরাক হোসেনের শপথ দিতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান রেখেছেন মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমি আশা করব যে, মন্ত্রণালয়ে আর কোনো সমস্যা তৈরি না করে দ্রুত তারা ইশরাক হোসেনের শপথের ব্যবস্থা করবেন এবং পরিস্থিতিকে সহজ করে তোলবার চেষ্টা করবেন।’
এসময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা আবারও বলছি, বর্তমানে যে রাজনৈতিক সংকট সেটি দূর করার একটিমাত্র পথ তা হচ্ছে, অতি দ্রুত নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করা। সংস্কারের যে বিষয়টা আছে সেটা চলমান প্রক্রিয়া। এটাও প্রোপজ করবে যারা জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনে আছে তারা অতিদ্রুত যেগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো ঐক্যমত হয়েছে সেগুলো তারা ঘোষণা করবেন। সেসব বিষয়ে ঐক্যমত্য করে সনদ তৈরি করবেন। সুতরাং এটা নিয়ে বাড়াবাড়ি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।
ফখরুল বলেন, সরকারের উচিত জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী অতিদ্রুত একটা রোডম্যাপ ঘোষণা করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা এবং চলমান যে সংস্কার প্রস্তাবগুলো যেগুলোতে ঐকমত্য হয়েছে সেগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করা। আর যেসব সংস্কার প্রস্তাবে ঐকমত্য হবে না সেগুলো সনদের ভেতরে নিয়ে চলমান প্রক্রিয়া হিসেবে রাখা।
এসময় দলের নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ফখরুল বলেন, ‘আমি মনে করি, যেহেতু আদালতে ইশরাকের বিষয়ে রায় হয়েছে, জনগণের বিজয় হয়েছে। এখন আর এই বিষয়টাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর সড়ক অবরোধ করে না রাখা। জনগণের স্বস্তির জন্য নেতা-কর্মীদের রাস্তা থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
বিএনিপর এই নেতা আরও বলেন, আমি আশা করি যে আদালতের দেওয়া রায়ে সরকার আর কোনো জটিলতার দিকে যাবে না, তারা খুব শিগগিরই ইশরাককে শপথ দেওয়ার ব্যবস্থা নেবেন।
উল্লেখ্য, চোখের অস্ত্রোপচারের জন্য গত ১৪ মে ব্যাংকক যান বিএনপি মহাসচিব। পরদিন ব্যাংকক রুটনিন আই হসপিটালে তার বাম চোখে সফল অস্ত্রোপচার হয়। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসকদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।
