ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে হট্টগোল

New-Project.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ নিজস্ব প্রতিবেদক

ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে গঠিত কমিশনের সর্বশেষ বৈঠকে জামায়াত ইসলামীকে তুলনামূলকভাবে বেশি সময় ও গুরুত্ব দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বামধারার রাজনৈতিক দল সিপিবি, গণফোরাম ও বাসদ। এসব দল মনে করছে, মতৈক্যের নামে একটি বিতর্কিত ও বিতর্ক-সৃষ্টিকারী রাজনৈতিক শক্তিকে অগ্রাধিকার দেওয়া কমিশনের নিরপেক্ষতা এবং উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকায় কমিশনের তৃতীয় দফা বৈঠকে এ ধরনের অসন্তোষ প্রকাশ পায়। বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধিরা প্রায় ৪৫ মিনিট সময় পান নিজেদের অবস্থান ব্যাখ্যা করার জন্য, যেখানে অন্যান্য ছোট দলগুলো গড়ে ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল।

সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স এ বিষয়ে বলেন, “যে দলটি মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী এবং গণতন্ত্রবিরোধী কার্যক্রমে জড়িত ছিল, তাদের মতামত শুনতে ঘণ্টার তিন-চতুর্থাংশ সময় দেওয়া হলে সেটি একধরনের বার্তা দেয়। আমরা সে বার্তার বিরোধিতা করছি।”

গণফোরামের পক্ষ থেকে আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, “ঐকমত্য গঠন মানেই সকলের মতামতের ভারসাম্য নিশ্চিত করা। সেখানে একপক্ষকে বেশি সময় দিয়ে অন্যদের মতামত চাপা দেওয়া হলে সেটি ঐকমত্য নয়, পক্ষপাত।”

বাসদের কেন্দ্রীয় নেতা বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, “জামায়াতের মতো একটি দলের প্রতি এ ধরনের ‘সৌজন্য’ প্রদর্শন অগ্রহণযোগ্য। তারা গণতন্ত্রের পথে নেই, অতএব সময় ও গুরুত্ব পাওয়া উচিত গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর।”

অন্যদিকে, কমিশন সূত্র জানায়, জামায়াতের প্রতিনিধি দল তাদের দল পুনর্গঠন ও রাজনীতি করার অধিকার নিয়ে দীর্ঘ ব্যাখ্যা দেন, যার ফলে সময় একটু বেশি লেগেছে। তবে কমিশনের এক সদস্য বলেন, “এটি পূর্ব নির্ধারিত ছিল না, বরং দলের বক্তব্য দীর্ঘ হওয়ায় স্বাভাবিকভাবে সময় বেশি লেগেছে।”

উল্লেখ্য, সদ্য গঠিত এই ঐকমত্য কমিশন দেশের রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনে সব দলের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি যৌথ রূপরেখা তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে। তবে শুরু থেকেই অংশগ্রহণ ও সময় বণ্টন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

Leave a Reply

scroll to top