তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা ফেরাতে আজ বুধবার (২৯ অক্টোবর) পঞ্চম দিনের মতো আপিল শুনানি শেষ হয়েছে। এদিন শুনানি শেষে পুনরায় আপিলের চূড়ান্ত শুনানি আগামী ২ নভেম্বর (রোববার) পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
শুনানিতে বিএনপির পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার কথা জামায়াতে ইসলামী প্রথম উপস্থাপন করেছে। এরপর আওয়ামী লীগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি উপস্থাপন করে। পরে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মেনে নেয়।
এদিন আরেক রিভিউ আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার এএসএম শাহরিয়ার কবির।
এর আগে, গতকাল (২৮ অক্টোবর) চতুর্থ দিনের আপিল শুনানি হয়। এদিন জামায়াতের আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ধারণা একটি অনন্য, ইউনিক পদ্ধতি। তবে, রাজনৈতিক নেতাদের দূরদর্শিতার অভাবে তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল হয়।
অন্যদিকে, তৃতীয় দিনের শুনানিতে আইনজীবী শিশির মনির আদালতকে বলেন, যে প্রক্রিয়ায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাদ দেওয়া হয়েছিল, তা ছিল পরিকল্পিত।
এর আগে, গত ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদন মঞ্জুর করেন সর্বোচ্চ আদালত। দেওয়া হয় আপিলের অনুমতি।
এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ জন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
উল্লেখ্য, ২০১১ সালে সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাতিল করে রায় দেন।
এমএ





