রাজধানী ঢাকায় চলতি সপ্তাহে গরমের দাপট আরও বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া তথ্য প্রদানকারী সংস্থা AccuWeather। তবে সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনাও রয়েছে, যা কিছুটা স্বস্তি বয়ে আনতে পারে নগরবাসীর জন্য।
AccuWeather-এর তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার (৮ মে) থেকে শুরু করে আগামী বুধবার (১৪ মে) পর্যন্ত প্রতিদিনই দিনের তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করবে। এ সময় রোদের তীব্রতা অত্যন্ত বেশি থাকবে এবং রাস্তাঘাটে তাপমাত্রা অনুভূত হবে ৩৯ থেকে ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত।
বিশেষ করে শনিবার (১০ মে) ও রবিবার (১১ মে) ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি ছুঁতে পারে। এসব দিন UV সূচক থাকবে ১১-১২ এর মধ্যে, যা “চরম” ক্যাটাগরিতে পড়ে। এর ফলে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে বাইরে চলাফেরায় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে সোমবার (১২ মে) থেকে ঢাকার আবহাওয়ায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলছে। ওই দিন থেকে বজ্রসহ বৃষ্টিপাত শুরু হতে পারে, যা ১৩ ও ১৪ মে পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এটি প্রাক-বর্ষার অংশ হিসেবে দেখা যেতে পারে এবং এতে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
স্বাস্থ্য সতর্কতা
অতিরিক্ত গরমে হিটস্ট্রোক ও পানিশূন্যতা (ডিহাইড্রেশন) এড়াতে পর্যাপ্ত পানি পান, সানস্ক্রিন ব্যবহার এবং সরাসরি রোদে চলাফেরা সীমিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। চিকিৎসকদের মতে, এ ধরনের আবহাওয়ায় হিটস্ট্রোক, ডিহাইড্রেশন এবং ত্বকের রোগ বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বাইরে বের হলে ছাতা, সানগ্লাস ও হালকা সুতির পোশাক পরার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। স্কুল ও অফিসগামীদের দুপুর ১২টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সরাসরি রোদে চলাফেরা এড়িয়ে চলতে বলা হচ্ছে।
প্রস্তাবিত করণীয়
- দুপুরের সময় (১২টা–৪টা) বাইরে যাওয়া এড়িয়ে চলুন।
- প্রয়োজন হলে ছাতা, হ্যাট এবং রোদ চশমা ব্যবহার করুন।
- হালকা, ঢিলেঢালা ও সুতি কাপড় পরিধান করুন।
- ঘরে ও অফিসে পর্যাপ্ত বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন।
সপ্তাহের শেষে বৃষ্টির পর নগরীতে জলাবদ্ধতার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না নগর পরিকল্পনাবিদরা। ফলে নগরবাসীকে জলাবদ্ধতা সংক্রান্ত পূর্বপ্রস্তুতির ব্যাপারেও সচেতন থাকতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আগামী কয়েকদিন রাজধানীতে চলাফেরার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। গরমে জীবনযাত্রা কষ্টকর হলেও সোমবার থেকে সম্ভাব্য বৃষ্টিপাত কিছুটা স্বস্তি এনে দিতে পারে। তবে বজ্রপাত ও জলাবদ্ধতার ঝুঁকি মাথায় রেখে প্রস্তুতি নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।