বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় রচিত হলো আজ। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বহুল প্রত্যাশিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে। স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় শুরু হয়ে বৈঠকটি চলে দেড় ঘণ্টা।
বৈঠকে অংশ নিতে ডরচেস্টার হোটেলে পৌঁছালে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান এবং প্রেস সচিব শফিকুল আলম। হোটেল কক্ষে নিয়ে যাওয়ার আগে লবিতেই ড. ইউনূস নিজে এসে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান এবং হাসিমুখে করমর্দনের মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং জানান, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তাঁকে সালাম জানিয়েছেন। উত্তরে অধ্যাপক ইউনূস কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বৈঠকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ অন্যান্য সহযোগীরাও উপস্থিত ছিলেন, যদিও মূল বৈঠকটি ছিল একান্ত। বৈঠকে দেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন, অন্তর্বর্তীকালীন সংস্কার, সরকার কাঠামো এবং সময়সূচি নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের প্রতিনিধিরা যৌথ সংবাদ সম্মেলন করবেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বদলে যাওয়ার পর এটি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান এবং বিএনপির শীর্ষ নেতাদের প্রথম সরাসরি সাক্ষাৎ। এই বৈঠককে ঘিরে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনসহ আন্তর্জাতিক মহলেও কৌতূহল ও আলোচনা ছিল তুঙ্গে।
বৈঠক শেষে ডরচেস্টার হোটেল থেকে বেরিয়ে যান তারেক রহমান, সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান ও প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
এই বৈঠকের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসন্ন রাজনৈতিক পরিবর্তনের সম্ভাবনা আরও জোরালো হলো বলে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন।