চরম গরমে আমরা অনেকেই ঠান্ডা পানীয় খাই, বাসায় থাকি বা আইসক্রিম খেতে বের হই। কেউ কেউ সুইমিং পুল বা সমুদ্রসৈকতে গা ভেজান। কিন্তু আমেরিকার এক ভ্লগার গরমের সময় একটু ভিন্ন কিছু করলেন। তিনি ঠিক করলেন, এত গরমে সাবওয়েতে চকলেট চিপ কুকি বেক করা সম্ভব কি না, সেটা পরীক্ষা করবেন!
ভ্লগার ম্যাট পিটারসনের একটি ইনস্টাগ্রাম ভিডিও এখন ভাইরাল। ভিডিওর শুরুতে তিনি বলেন, “নিউইয়র্ক সিটিতে এখন প্রায় ১০০ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস), তাই আমি দেখবো সাবওয়ে স্টেশনের গরমে কুকি বেক হয় কি না।” এরপর তিনি একটি পাতিলে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল বিছিয়ে বাজার থেকে কেনা রেডিমেড কুকি ডো ছোট ছোট বল আকারে বানিয়ে রাখেন। তারপর তা নিয়ে যান একটি নির্দিষ্ট সাবওয়ে স্পটে। সেখানে রেখে বলেন, “একটা ভালো লুকানো জায়গা পেয়েছি। কুকিগুলো এখানে রেখে রাতে ফিরে দেখবো কী অবস্থা।”
ভিডিওটি এখন পর্যন্ত ৫০ লাখের বেশি মানুষ দেখেছেন। অনেকেই মজা করে বা দুশ্চিন্তা করে মন্তব্য করেছেন। কেউ লিখেছেন, “কুকিগুলো রান্না না হলেও সাবওয়ের ইঁদুর বা যাত্রীরা খেয়ে ফেলবে।” অন্য একজন লিখেছেন, “সাবওয়ের ধুলাবালুতে তো এগুলো খাওয়ার অনুপযুক্ত হয়ে গেছে।”
পরে ম্যাট আরেকটি ভিডিও পোস্ট করেন, যেখানে তিনি জানান, তিনি কুকিগুলো ফেলে যাননি। বরং আগের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে সেগুলোর পাশে সারাদিন বসে ছিলেন। “বিশ্বাস করুন, আমি পুরো দিন এই সাবওয়ে স্টেশনে বসে কুকিগুলোর পাহারা দিয়েছি,” বলেন তিনি। তিনি জানান, এত গরমে বসে থাকতে গিয়ে প্রচণ্ড ঘাম ঝরেছে।
৮ ঘণ্টা পর কুকিগুলোর অবস্থা দেখান ম্যাট। তিনি বলেন, “পুরোপুরি না হলেও কিছুটা বেক হয়েছে।” ছোট কুকিগুলো কিছুটা শক্ত হলেও বড়টা এখনো কাঁচা। তবে দেখতে এখনো বেশ কাঁচা মনে হয়েছে।
এই ভিডিওর নিচে নানা মজার মন্তব্য এসেছে। কেউ লিখেছেন, “পিজ্জা ইঁদুর এবার কুকি খাবে!” আরেকজন বলেন, “এটা অর্ধেক রান্না করা এক আইডিয়া!” কেউ আবার মজা করে বলেন, “সৌদি আরবে গিয়ে দেখুন, এক ঘণ্টার মধ্যে বেক হয়ে যাবে!”
এর আগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে রোদের তাপে ডিম রান্নার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল।
নিউইয়র্কের মতো গরম পরিস্থিতি এখন বাংলাদেশেও বিরাজ করছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলছে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আকাশে মেঘ থাকলেও বৃষ্টির সম্ভাবনা কম। বাতাসে আদ্রতা বেশি হওয়ায় গরম আরও অস্বস্তিকর হয়ে উঠেছে। রাজধানী ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে গেছে, কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই।
