নিম্নচাপের প্রভাবে সৃষ্ট বৃষ্টিপাতের মাঝেই ফের দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার (৩১ মে) দেশের ১০টি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এতে রাজধানী ঢাকাসহ বেশিরভাগ অঞ্চলজুড়ে বৃষ্টি, বজ্রপাত ও দমকা বাতাসের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আজকের দিনটি আবহাওয়ার দিক থেকে বেশ অনিশ্চিত ও ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
কি বলছে পূর্বাভাস
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ঢাকা, ময়মনসিংহ এবং সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিমি বেগে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ী ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। অন্যদিকে, দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে একই দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকাকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এর পাশাপাশি বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া গভীর নিম্নচাপটি ইতোমধ্যে সাগরদ্বীপ ও খেপুপাড়ার মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম করেছে। যদিও এটি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে, তবে এর প্রভাব এখনো টের পাওয়া যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। অনেক অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে আজ সারাদিনজুড়েই। ইতোমধ্যে বরগুনা, পটুয়াখালী, ও ভোলা অঞ্চলে জোয়ারের পানিতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
রাজধানীতে সকাল থেকেই মেঘের আনাগোনা
ঢাকাসহ আশপাশের এলাকায় সকাল থেকেই আকাশে ঘন মেঘের আনাগোনা, মাঝে মাঝে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি, আর বাড়তি আর্দ্রতায় গুমোট অনুভূতি বিরাজ করছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠতে পারে, যা সঙ্গী হবে ৮৫ শতাংশের বেশি আর্দ্রতার সঙ্গে। বৃষ্টির কারণে নগরীর বিভিন্ন সড়কে পানি জমে যানজট ও দুর্ঘটনার আশঙ্কাও রয়েছে। বিশেষ করে বিকেল থেকে রাতের মধ্যে বজ্রপাত ও ঝোড়ো হাওয়ার প্রবণতা বেশি থাকবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
সব মিলিয়ে, আজকের দিনটিতে বাইরে বের হলে নিতে হবে বাড়তি সতর্কতা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া উন্মুক্ত জায়গায় অবস্থান না করার পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। নৌ চলাচল, কৃষিকাজ ও দিনমজুর শ্রেণির মানুষের জন্য আজকের আবহাওয়া হতে পারে বড় চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে নদী ও উপকূলবর্তী এলাকায় ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী ক্ষয়ক্ষতির ঝুঁকি থাকায় স্থানীয় প্রশাসন ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
সর্বশেষ আপডেট জানতে আবহাওয়া অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট কিংবা বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যমগুলো নিয়মিত অনুসরণ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে।