পরমাণু অস্ত্র কর্তৃপক্ষের সঙ্গে জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শাহবাজ

New-Project-33-1.jpg

শাহবাজ শরীফ

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২০২৫ সালের মে মাসে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক উত্তেজনা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি সৃষ্টি করেছে। ভারত ও পাকিস্তান উভয়েই পারমাণবিক শক্তিধর দেশ হওয়ায়, এই সংঘাতের প্রভাব গোটা দক্ষিণ এশিয়া ও আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ আজ, ১০ মে ২০২৫, জাতীয় কমান্ড অথরিটির (NCA) জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে পরমাণুবিক অস্ত্রাগার নিয়ন্ত্রকের বৈঠক

এই বৈঠকটি পাকিস্তানের পারমাণবিক অস্ত্রাগার ও সামরিক নিরাপত্তা বিষয়ক সর্বোচ্চ সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী সংস্থা। বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে ভারতের সাম্প্রতিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রেক্ষাপটে, যা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি করেছে। উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে গোটা দক্ষিণ এশিয়াতে।

ভারত দাবি করেছে যে পাকিস্তান তার পাঞ্জাব অঞ্চলের বিমান ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে, এবং পাকিস্তানও পাল্টা হামলা করেছে। এই হামলাগুলোর ফলে কমপক্ষে ৪৮ জন নিহত হয়েছে এবং উভয় দেশের সীমান্তে সেনা সমাবেশ বৃদ্ধি পেয়েছে। দুই দেশের মধ্যে এই সামরিক উত্তেজনা পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি তৈরি করেছে।

জাতীয় কমান্ড অথরিটির বৈঠকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ, সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির, এবং অন্যান্য শীর্ষ সামরিক ও বেসামরিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই বৈঠকটি পাকিস্তানের নিরাপত্তা এবং পারমাণবিক সক্ষমতা নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কৌশলগত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এই উত্তেজনার মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ জাতীয় কমান্ড অথরিটির (NCA) জরুরি বৈঠক আহ্বান করেছেন, যা দেশের পারমাণবিক নিরাপত্তা ও কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ ফোরাম। যা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ব্যাপক দুসংবাদ।

আকাশে সংঘর্ষ ও ক্ষয়ক্ষতি

এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক এবং সৌদি আরব উভয় পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে এবং মধ্যস্থতার প্রস্তাব দিয়েছে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দ পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধের ঝুঁকি এড়াতে কূটনৈতিক সমাধানের তাগিদ দিয়েছেন।এই পরিস্থিতি বাংলাদেশের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ দক্ষিণ এশিয়ার এই দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘাতের প্রভাব গোটা অঞ্চলে পড়তে পারে।

ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর পাকিস্তান “অপারেশন বুনিয়ান-উল-মারসুস” নামে পাল্টা হামলা চালিয়েছে, যার লক্ষ্য ছিল ভারতীয় সামরিক স্থাপনা, যেমন পাঠানকোট ও উদমপুর বিমানঘাঁটি এবং ব্রাহ্মোস ক্ষেপণাস্ত্র স্টোরেজ ফ্যাসিলিটি। ৭ মে, ২০২৫ তারিখে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বিমান বাহিনীর মধ্যে ব্যাপক আকাশযুদ্ধ সংঘটিত হয়, যেখানে তিনটি ভারতীয় রাফাল, একটি মিগ-২৯ এবং একটি সু-৩০এমকেআই বিমান ভূপাতিত হয়। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, ভারতীয়রা ৭৭টি ইসরায়েলি হ্যারোপ ড্রোন পাঠিয়েছিল, যার মধ্যে ২৯টি পাকিস্তান ধ্বংস করেছে।

আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া

যুক্তরাষ্ট্র ও G7 দেশগুলো উভয় পক্ষকে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে এবং সরাসরি যোগাযোগ পুনঃস্থাপনের প্রস্তাব দিয়েছে। চীন পাকিস্তানের প্রতি সমর্থন জানিয়ে ভারতকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে।

 বাংলাদেশের জন্য প্রভাব

বাংলাদেশ, যা ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে অবস্থিত, এই উত্তেজনার প্রভাবে সরাসরি প্রভাবিত হতে পারে। যুদ্ধের সম্ভাবনা, সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি এবং অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা উদ্বেগ বাংলাদেশের জন্য চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করতে পারে। এই পরিস্থিতি আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে, এবং সকল পক্ষকে সংযম ও কূটনৈতিক সমাধানের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানানো হয়েছে।

Leave a Reply

scroll to top