কোরবানির হাটে চাঁদাবাজি নিয়ে র‍্যাবের কঠোর হুঁশিয়ারি

New-Project-2025-06-03T135436.323.png

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

আসন্ন ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে পশুর হাটকেন্দ্রীক চাঁদাবাজি, এক হাটের পশু অন্য হাটে জোর করে নিয়ে যাওয়া এবং পরিবহনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে র‍্যাব। আজ মঙ্গলবার (৩ জুন) দুপুরে রাজধানীর গাবতলী পশুর হাটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল মো. মাহবুব আলম এসব কথা জানান। তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ও সর্বোচ্চ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

লে. কর্নেল মাহবুব আলম বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের বৃহত্তম পশুর হাট গাবতলীসহ অন্যান্য সব পশুর হাটের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে নেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা। র‍্যাব-৪ তাদের দায়িত্বপূর্ণ হাটে ওয়াচ টাওয়ার ও অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন করেছে।

পাশাপাশি মিরপুর বেনারশী পল্লী এলাকা এবং পাটুরিয়া ফেরিঘাট গরুর হাটেও অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। জনসাধারণ যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ছাড়াই নির্বিঘ্নে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করতে পারে, সেজন্য হাটে আভিযানিক দল নিয়োগ, গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি এবং সার্বিক নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে র‍্যাব-৪ এর অধিনায়ক বলেন, ঘরমুখো মানুষ যেন ছিনতাই, মলম পার্টি, অজ্ঞান পার্টিসহ কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতিতে না পড়ে, সেজন্য গুরুত্বপূর্ণ এলাকা যেমন গাবতলী বাসস্ট্যান্ড, নবীনগর, বাইপাইল, ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক, পাটুরিয়া ও আরিচা ফেরিঘাট এলাকায় নিয়মিত টহল মোতায়েন রয়েছে।

এছাড়া, বাসের টিকিট সিন্ডিকেট, কালোবাজারি বা বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের মতো অপরাধ প্রতিরোধে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। গত সোমবারও গাবতলী বাস কাউন্টারে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়েছে।

ঈদকে কেন্দ্র করে শপিং কমপ্লেক্সগুলোতেও নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে সাদা পোশাকে র‍্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় এবং যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে র‍্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন স্থানে নিয়মিত চেকপোস্ট পরিচালনা ও সার্বক্ষণিক টহল অব্যাহত থাকবে।

লে. কর্নেল মাহবুব আলম আরও জানান, পশু ক্রয়-বিক্রয়ে জাল টাকা আদান-প্রদান বন্ধে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে এবং জাল টাকা শনাক্তকারী মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। অজ্ঞান পার্টি, মলম পার্টি এবং অন্যান্য অপরাধী চক্রকে প্রতিহত করতে বিশেষ নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। গত ১ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত ১৭ জন ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঈদ জামাতকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের নাশকতা, হামলা, বা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নকারী তথ্য ও গুজব প্রতিরোধে র‍্যাব প্রস্তুত রয়েছে। ঈদ পূর্ববর্তী ও ঈদ পরবর্তী সময়ে র‍্যাব-৪ এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বিভিন্ন সড়ক ও মহল্লায় ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, দস্যুতা এবং যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত অপরাধ প্রতিরোধে বিশেষ টহল ব্যবস্থা অব্যাহত থাকবে। যেকোনো উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাব-৪ এর পর্যাপ্ত স্ট্রাইকিং রিজার্ভ ফোর্স প্রস্তুত থাকবে বলেও তিনি নিশ্চিত করেন।

Leave a Reply

scroll to top