গেজেট প্রকাশ মানেই শপথ নয়, প্রক্রিয়া সম্পন্ন জরুরি: আসিফ

New-Project-16-6.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

নির্বাচন কমিশনের ট্রাইব্যুনালে জয়ী হয়ে গেজেট প্রকাশ সত্ত্বেও বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন কেন এখনো ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ নিতে পারেননি—সে বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া দশটি কারণ তুলে ধরেছেন। সোমবার (১৯ মে) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তিনি একটি পোস্টে এই ব্যাখ্যা দেন।

ইশরাকের শপথ না হওয়ার ১০টি কারণ:

১. হাইকোর্টের আদেশ লঙ্ঘন: নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল যে রায় দিয়েছে, তা হাইকোর্টের “আর্জি সংশোধন অবৈধ” রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

২. একপাক্ষিক রায়: নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশ না নেওয়ায় ট্রাইব্যুনাল একতরফা রায় দিয়েছে এবং পরবর্তীতে কমিশন এ বিষয়ে কোনো আপিল করেনি।

৩. প্রজ্ঞাপন জারির তাড়াহুড়ো: আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত পাওয়ার আগেই এবং একই সঙ্গে দুই নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে ইসি।

৪. স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুপস্থিতি: মামলায় এলজিআরডি মন্ত্রণালয় পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়ে তাদের প্রতি কোনো নির্দেশনাও ছিল না।

৫. বিচারাধীন রিট মামলা: শপথ না দেওয়ার কারণে একটি রিট দায়ের হয়েছে যেখানে স্থানীয় সরকার বিভাগ বিবাদী—এটি এখনো বিচারাধীন।

৬. দ্বৈত মানদণ্ড: বরিশাল সিটি করপোরেশনের অনুরূপ মামলায় হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে ট্রাইব্যুনাল আবেদন খারিজ করেছে—ফলে এখানে দ্বৈত মানদণ্ডের প্রশ্ন উঠেছে।

৭. মেয়াদসংক্রান্ত জটিলতা: ইশরাকের মেয়াদকাল কতদিন হবে, বা আদৌ কোনো মেয়াদ অবশিষ্ট আছে কি না—তা নিয়ে স্পষ্টতা নেই।

৮. আইনি জটিলতার অস্তিত্ব: ইসির পক্ষ থেকে চিঠিতে বলা হয়েছে, “আইনি জটিলতা না থাকলে” শপথের ব্যবস্থা নিতে। কিন্তু বর্তমানে একাধিক আইনি জটিলতা রয়েছে।

৯. আইন মন্ত্রণালয়ের মতামতের অপেক্ষা: এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে, সেটি এখনো পাওয়া যায়নি।

১০. রাজনৈতিক বৈধতা বিতর্ক: আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে হওয়া নির্বাচনগুলো বৈধ বলে ধরে নেওয়া হলে এ ধরনের প্রশ্ন আসবে না। কিন্তু রাজনৈতিকভাবে সেই স্বীকৃতি আসেনি।

আসিফ মাহমুদ সজীব মনে করেন, বিচারাধীন বিষয়ে শপথ গ্রহণ না করে বরং রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে শপথ আদায়ের চেষ্টা করছে বিএনপি। এ কারণে নগর ভবন বন্ধ করে আন্দোলন চালানো হচ্ছে, যার ফলে নগরবাসী ভোগান্তিতে পড়ছে।

উপসংহার: উপদেষ্টার মতে, আইনগত ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত ইশরাক হোসেনের শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। তবে সরকার চাইলে আইনি জটিলতা নিরসনের পর তাকে শপথের সুযোগ দিতে পারে।

 

Leave a Reply

scroll to top