প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হত্যা: বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

New-Project-11-9.jpg

প্রাইম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হত্যা: বৈষম্যবিরোধী ও ছাত্রদলের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের সংঘর্ষে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যার ঘটনায় একে অপরকে দোষারোপ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পারভেজ হত্যার ঘটনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই সদস্যকে দায়ী করেছে ছাত্রদল। তবে এই অভিযোগ অস্বীকার করে নিন্দা জানিয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।

রোববার (২০ এপ্রিল) ভোরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের ভেরিফায়েড পেইজে থেকে এই সংক্রান্ত এক পোস্ট করা হয়।

এতে বলা হয়, প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও ছাত্রদলকর্মী পারভেজ হত্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম আহ্বায়ক সোবহান নিয়াজ তুষার ও যুগ্ম সদস্য সচিব হৃদয় মিয়াজীকে দায়ী করেছে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসিরসহ অন্যান্যরা। তারা হত্যার সাথে কোনোভাবেই জড়িত নন। ছাত্রদলের এমন ঘৃণ্য মিথ্যাচারের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

পোস্টে আরও বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সংগঠন পিইউএসএবি তাদের ফেসবুকে যে তিনজনের নাম উল্লেখ করেছে, সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই অন্তর্ভুক্ত নন। দেশের মিডিয়াতেও আমাদের কোনো নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র অভিযোগের কথা বলা হয়নি। ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ পাওয়া গেছে। সেখানেও তুষার এবং হৃদয় মিয়াজীর কোনও উপস্থিতি ও হত্যার সাথে সংশ্লিষ্টতা দেখা যায়নি।

মৃত ব্যক্তিকে ছাত্রদল ব্যবহার করছে উল্লেখ করে পোস্টে বলা হয়, এর আগে ছাত্রদলের সংবাদ সম্মেলনে ‘দায় দিয়ে দাও’ সংস্কৃতির প্রচলন দেখেছি। সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক সেই সংস্কৃতির পুনরাবৃত্তি করছেন। প্রত্যক্ষদর্শী এবং ঘটনাস্থলে উপস্থিত কোনও ব্যক্তির বরাতেও তুষার এবং হৃদয়ের কথা পাওয়া যায়নি। ছাত্রদলের এমন কার্যক্রম নতুন বাংলাদেশ ও রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে কাম্য নয়।

প্রমাণ ছাড়াই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুইজন নেতার নাম জড়িয়ে ফেসবুকে মব ট্রায়াল চালানো হচ্ছে দাবি করে এতে বলা হয়, এর ফলে ওই দুই নেতার নিরাপত্তায় ব্যাঘাত ঘটছে। একইসঙ্গে পারভেজ হত্যার মূল আসামিরা অনালোচিত থেকে যাচ্ছে। পারভেজ ছাত্রদল কর্মী হলেও ছাত্রদলেরই সাধারণ সম্পাদক হত্যাকারীদের কেনো আড়াল করতে চাইছেন, তা আমাদের বোধগম্য নয়। বিষয়টি গোয়েন্দা বাহিনীকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি।

এর আগে, শনিবার রাতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, এই হত্যাকাণ্ডে বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী শাখার সদস্যরা জড়িত।

উল্লেখ্য গতকাল শনিবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত পারভেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন।

Leave a Reply

scroll to top