সারাদেশে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট, বৈঠকে বিপিসি

New-Project-53.png

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট শুরু করেছে বাংলাদেশ পেট্রোল পাম্প ও ট্যাংকলরি মালিক ঐক্য পরিষদ। জানা গেছে, দীর্ঘদিনের অমীমাংসিত জ্বালানি তেলের বিক্রয় কমিশন বৃদ্ধিসহ সাত দফা দাবি আদায় না হওয়ায় এই ধর্মঘটের ডাক দিতে বাধ্য হয়েছেন তারা।

আজ রোববার (২৫ মে) সকাল ৬টা থেকে এই ধর্মঘট কার্যকর হয়েছে, যার ফলে দুপুর ২টা পর্যন্ত দেশের সকল পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখা হয়েছে। একই সাথে ডিপো থেকে তেল উত্তোলন ও পরিবহনও স্থগিত রয়েছে, যা সাধারণ মানুষের মধ্যে ব্যাপক ভোগান্তির সৃষ্টি করেছে।

দাবি সমূহ
১ জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন ৭ শতাংশে উন্নীত করা।
২ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের ইজারা মাশুল পূর্বের অবস্থানে ফিরিয়ে আনা।
৩ পাম্প সংযোগ সড়কের ইজারা নবায়নের ক্ষেত্রে পে-অর্ডারকে নবায়ন হিসেবে গণ্য করা।
৪ বিএসটিআই কর্তৃক আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিব্রেশন, ডিপ রড পরীক্ষণ ফি এবং নিবন্ধন প্রথা বাতিল করা।
৫ পরিবেশ অধিদপ্তর, বিইআরসি, কলকারখানা পরিদপ্তর ও ফায়ার সার্ভিসের লাইসেন্স গ্রহণ প্রথা বাতিল করা।
৬ বিপণন কোম্পানি থেকে ডিলারশিপ ছাড়া সরাসরি তেল বিক্রি বন্ধ করা।
৭ ট্যাংকলরি চালকদের লাইসেন্স নবায়ন ও নতুন লাইসেন্স ইস্যুতে জটিলতা দূর করা এবং সব ট্যাংকলরির জন্য আন্তঃজেলা রুট পারমিট প্রদান।
অননুমোদিতভাবে ঘর বা খোলা স্থানে তেল বিক্রি বন্ধ করা।

বিপিসি’র জরুরি বৈঠক
ধর্মঘট পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকে বসেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি)। তবে বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে তা এখনো জানা যায়নি। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত একটি সমঝোতায় পৌঁছে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে, যাতে জ্বালানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয় এবং জনদুর্ভোগ কমে।

সকাল থেকে চলমান এই ধর্মঘটের কারণে সারাদেশে যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে এবং সাধারণ মানুষ দৈনন্দিন কাজে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঈদের আগে এমন ধর্মঘট জনজীবনে আরও বেশি প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Leave a Reply

scroll to top