জনগণ করুণার পাত্র নয়, জবাবদিহিমূলক সরকার চাই: তারেক রহমান

New-Project-1-13.jpg
২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, দেশের জনগণ কোনো সরকারের করুণার পাত্র নয়। সরকারের মান-অভিমান বা রাগ-বিরাগের সুযোগ নেই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়। রোববার রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, “পলাতক স্বৈরাচারের আমলে রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর দমন-পীড়ন, ষড়যন্ত্র হয়েছে। এনপিপিও তার ব্যতিক্রম নয়। এখন আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত—ফ্যাসিবাদের চূড়ান্ত বিদায় নিশ্চিত করা।”

তিনি বলেন, “রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে গুণগত পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন প্রয়োজনীয় সংস্কার। সংস্কার কোনো বিলাসিতা নয়, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। আর এই সংস্কার জনগণের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের মাধ্যমেই সম্ভব।”

সরকারের জবাবদিহিতা নিয়ে তারেক রহমান বলেন, “নির্বাচিত, অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক—সরকার যেই হোক, জবাবদিহিতার অভাব থাকলে তা স্বৈরতন্ত্রে রূপ নেয়। তাই নাগরিকদের উচিত হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে গঠনমূলক সমালোচনায় সোচ্চার থাকা।”

বর্তমান সরকারের কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকারের নৈতিক বৈধতা থাকলেও এটি জনগণের কাছে দায়বদ্ধ নয়। এই সরকার বাজেট ঘোষণার মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে যাচ্ছে, অথচ সরেজমিন অভিজ্ঞতা নেই। তড়িঘড়ি করে এনবিআরের ওপর চাপিয়ে দেওয়া সংস্কার রাজস্ব ব্যবস্থাকে অচল করে তুলছে।”

তিনি আরও বলেন, “দেশে এখন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। গণতান্ত্রিক সরকার না থাকায় দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়েছে, সাধারণ মানুষের মধ্যে উদ্বেগ বাড়ছে।”

জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, “ফ্যাসিবাদ প্রতিহত করতে গণতন্ত্রকামী জনগণের ঐক্য ছাড়া বিকল্প নেই। ৫ আগস্টের মতো জনগণের ঐক্যই হতে পারে সব ষড়যন্ত্রের জবাব।”

জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমরা আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চাই। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের সঙ্গে দেখা করে স্পষ্ট দিন-তারিখ ঘোষণার দাবি জানিয়েছি। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে জনপ্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীতে জরুরি সংস্কার প্রয়োজন। এ জন্য আমরা রাজপথের আন্দোলনে যেমন ছিলাম, তেমনি এখনো আছি।”

শেষে তারেক রহমান বলেন, “দেশ-বিদেশে গ্রহণযোগ্য নেতৃত্বে, অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে ইতিহাসের সবচেয়ে অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচন দেখতে চায় দেশবাসী। এনপিপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।”

Leave a Reply

scroll to top