পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির শেষ দিনে সিরাজগঞ্জের মহাসড়কে সৃষ্টি হয়েছে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। আজ শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে জেলার কড্ডার মোড় এলাকায় দেখা গেছে হাজারো মানুষের অপেক্ষা, যাদের গন্তব্য রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত। তবে সড়কে নেই পর্যাপ্ত যানবাহন। ফলে এসব কর্মজীবী মানুষদের ব্যাপক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে।
বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, অনেক যাত্রী ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও কোনো বাস পাচ্ছেন না। কেউ কেউ অতিরিক্ত ভাড়া দিলেও মিলছে না গাড়ির দেখা। এই সুযোগে বাসে সাধারণত যাতায়াতে যে ভাড়া নেওয়া হয়, তার চেয়ে দ্বিগুণ বা তিনগুণ ভাড়াও দাবি করছে কিছু পরিবহন।
কথা হয় প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে যানবাহনের জন্য অপেক্ষায় থাকা গার্মেন্টস কর্মী স্বপ্না পারভীনের সাথে। তিনি ২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশকে জানান, প্রতি বছর ঈদের পরের রাজধানীতে ফেরার সময় এই একই চিত্র দেখা যায়। বাস সংকটে ঢাকার ফিরতে অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হয়।
কথা হয় গাড়ির জন্য অপেক্ষায় থাকা রেজুওয়ানা খাতুন, কলেজ শিক্ষক মাহফুজুল আদনান, শিক্ষার্থী শরিফুল ইবনে রিতুলসহ অনেকের সঙ্গে কথা হয়। এ সময় তারা জানান, প্রত্যেক ঈদ-পরবর্তী দিনগুলোতে একই চিত্র দেখা যায়, কিন্তু এবার ভিড় তুলনামূলক অনেক বেশি। কোনো গাড়িতেই সিট খালি নেই। বাড়তি টাকা দিয়েও টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না।
বিশেষ করে শনিবারই ছুটির শেষ দিন হওয়ায় একসঙ্গে অনেক মানুষ কর্মস্থলে ফিরতে গিয়ে বিপাকে পড়েছেন। এ অবস্থায় নারী ও শিশু যাত্রীদের দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। বাস না পেয়ে অনেকে পণ্যবাহী ট্রাক কিংবা পিকআপ ভ্যানে করেও গন্তব্যে পৌঁছাতে চেষ্টা করছেন।
এদিকে, কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ঢলে যমুনা সেতুর দুই প্রান্তে সৃষ্টি হয়েছে দীর্ঘ যানজট ও যানবাহনের ধীরগতি। শনিবার সকাল থেকে সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক এবং টাঙ্গাইল অংশের যমুনা সেতু থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটারজুড়ে এই যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে।