গোমস্তাপুরে মাঠজুড়ে ধান কাটার উৎসব

New-Project-15-1.jpg

মাঠজুড়ে ধান কাটার উৎসব

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলাজুড়ে বোরো মৌসুমের ধান কাটা ও ঘরে তোলার কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে। মাঠে এখন কৃষকদের ব্যস্ততা তুঙ্গে। সূর্য ওঠার আগেই জমিতে গিয়ে কেউ কাঁচি চালাচ্ছেন, কেউ বা ধান বহন করছেন, কেউ আবার মাঠেই মাড়াইয়ের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত।

এবারের বোরো মৌসুমে উপজেলার পার্বতীপুর, চৌডালা, রহনপুর, বাঙ্গাবাড়ি, গোমস্তাপুর সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় ধান চাষের হার ভালো ছিল। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর গোমস্তাপুরে প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেশি।

কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, “আল্লাহর রহমতে এ বছর আবহাওয়া ভালো ছিল, রোগবালাইও কম হয়েছে। তাই ফলনও বেশ ভালো। এখন কেবল সময়মতো কেটে ঘরে তোলাই বড় কাজ।”

কৃষকরা জানান, এবার ধানের গড় ফলন হচ্ছে প্রতি বিঘায় প্রায় ২৫-৩০ মণ। তবে সমস্যা হচ্ছে শ্রমিক সংকট ও মজুরি বৃদ্ধিতে। প্রতিদিন একজন শ্রমিকের মজুরি দিতে হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ২০০ টাকা বেশি। ফলে উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে।

এদিকে ধানের ন্যায্যমূল্য পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন অনেক কৃষক। তারা মনে করেন, সরকার নির্ধারিত মূল্যে ধান ক্রয় নিশ্চিত না করলে অনেক কৃষক লোকসানে পড়বেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম জানান, “আমরা কৃষকদের মাঠ পর্যায়ে সহায়তা দিচ্ছি। যান্ত্রিক মাড়াইয়ের ব্যবস্থাও কিছু এলাকায় চালু করা হয়েছে। আশা করছি, কৃষকরা এবার ভালো ফলন ও সঠিক দাম পাবে।”

সরকারিভাবে ধান ক্রয়ের কার্যক্রম খুব শিগগিরই শুরু হবে বলেও তিনি জানান।

বোরো ধান ঘরে তোলার এই ব্যস্ততা যেমন কৃষকের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে, তেমনি শ্রমিক সংকট ও ন্যায্যমূল্য নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। এখন প্রয়োজন সরকারি সহায়তা এবং সুষ্ঠু বাজার ব্যবস্থাপনা, যাতে কৃষকরা তাদের কষ্টের ন্যায্য মূল্য পেতে পারেন।

Leave a Reply

scroll to top