জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধনের আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
আজ সোমবার (৯ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় বাজারে পঞ্চগড়-বাংলাবান্ধা মহাসড়কের পাশে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় তার সঙ্গে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহও উপস্থিত ছিলেন।
সারজিস জানান, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয় রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন, আর সেই আবেদন প্রক্রিয়া তারা চলতি মাসের ১৫ তারিখের মধ্যে সম্পন্ন করতে আশাবাদী। তিনি উল্লেখ করেন, নিবন্ধন পেতে যে ১০০টি উপজেলা এবং প্রায় ২২টি জেলা কমিটি প্রয়োজন হয়, এনসিপির সেই কমিটিগুলো ইতোমধ্যেই গঠিত হয়েছে এবং অফিস নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।
সারজিস আরও বলেন, “যথাসময়ে নিয়মানুযায়ী প্রক্রিয়া অনুসরণ করে অন্যান্য রাজনৈতিক দলের মতো আমরা আমাদের নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করব।”
দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রমকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে জানিয়ে সারজিস আলম বলেন, “সাংগঠনিক ভিত্তি শক্তিশালী করার এই প্রক্রিয়া রাজধানী থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত পৌঁছে গেলে, এটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নির্বাচন কেন্দ্রিক প্রস্তুতিকে সম্পন্ন করে।”
প্রধান উপদেষ্টার নির্বাচনের সময় ঘোষণার বিষয়ে সারজিস আলম বলেন, “যদি দৃশ্যমান বিচারিক প্রক্রিয়া আমরা দেখতে পাই, মৌলিক সংস্কারগুলো আমাদের সামনে দৃশ্যমান হয়—যেমন, বিচার বিভাগের, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর, নির্বাচন কমিশনের—এগুলো সম্পন্ন হলে এপ্রিলে নির্বাচন হলে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই।”
নির্বাচনের বিষয়ে তিনি আরও বলেন, “সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমরা সবসময় দেখে এসেছি নির্বাচনের সময়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করা হয়, কালো টাকা ও পেশীশক্তির ব্যবহার করা হয়।”
অভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের এই নির্বাচনে তারা একটি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড দেখতে চান উল্লেখ করে তিনি বলেন, “যেখানে ছোট দল হোক, বড় দল হোক, সবাই তাদের জায়গা থেকে স্বচ্ছ এবং সুষ্ঠু একটি নির্বাচনে একদম সক্রিয় এবং স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে নির্বাচনগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারবে।”
সারজিস আলম অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “নির্বাচনে কেউ যেন কারো দ্বারা এখানে ক্ষমতার অপব্যবহারের শিকার না হয় এবং যে অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো আমরা বিগত নির্বাচনগুলোতে ভোটকেন্দ্র থেকে শুরু করে নির্বাচনী এলাকায় দেখেছি—যেমন, ভোটকেন্দ্র দখল করা, ব্যালট চুরি করা—এ ধরনের ঘটনাগুলো যেন আমরা আগামীর বাংলাদেশে কোনো নির্বাচনে না দেখি।”
তিনি যোগ করেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাচন কমিশন এবং বিচার বিভাগকে নির্বাচনকালে যেন পেশাদারিত্বের পরিচয় দেয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।