রাবিতে ১২ স্থাপনার নাম পরিবর্তন, মিশ্র প্রতিক্রিয়া শিক্ষার্থীদের

New-Project-23-7.jpg

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ রাবি প্রতিনিধি

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুটি প্রশাসনিক ভবনসহ মোট ১২টি স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত বৃহস্পতিবার রাতে অনুষ্ঠিত ৫৩৯তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, শেখ মুজিবুর রহমান হল-এর নাম পরিবর্তন করে ‘বিজয়-২৪ হল’, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা হল-এর নাম ‘জুলাই-৩৬ হল’ করা হয়েছে। সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন এখন থেকে ‘প্রশাসন ভবন-১’ এবং মনসুর আলী প্রশাসন ভবন হবে ‘প্রশাসন ভবন-২’। একইভাবে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবন এখন শুধুই ‘সিনেট ভবন’ নামে পরিচিত হবে।

এছাড়া আরও যেসব নাম পরিবর্তন হয়েছে:

  • শেখ কামাল স্টেডিয়াম → রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় স্টেডিয়াম
  • ড. কুদরত-ই-খুদা একাডেমিক ভবন → জাবির ইবনে হাইয়ান ভবন
  • ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়া একাডেমিক ভবন → জামাল নজরুল ভবন
  • কৃষি অনুষদ ভবন → কৃষি ভবন
  • শেখ রাসেল মডেল স্কুল → রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মডেল স্কুল
  • কাজলা গেট → শহীদ সাকিব আঞ্জুম গেট
  • বিনোদপুর গেট → শহীদ আলী রায়হান গেট

নতুন নামকরণ নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। কেউ কেউ প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখলেও, অনেকেই এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

রায়হান আলী নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, “আগের নামগুলো নির্দিষ্ট রাজনৈতিক ইতিহাস বহন করত। এখন গেট দুটোর নাম শহীদদের নামে রাখায় তাদের আত্মত্যাগকে সম্মান জানানো হয়েছে, এটা প্রশংসনীয়।”

অন্যদিকে সাফায়াত মোস্তাকিম অনিক নামে আরেক শিক্ষার্থী সামাজিক মাধ্যমে লেখেন, “ড. কুদরত-ই-খুদা বাংলাদেশের একজন অগ্রণী বিজ্ঞানী, তার নাম বাদ দিয়ে ইবনে হাইয়ানের নামকরণ অনভিপ্রেত ও অপ্রাসঙ্গিক।”

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) ড. মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, “নাম পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সরকারের উচ্চপর্যায়ের নির্দেশনা অনুসরণ করা হয়েছে। নির্মাণাধীন দুটি হলের নাম এখনো চূড়ান্ত হয়নি। নির্মাণকাজ শেষ হলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে।”

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, “সিন্ডিকেট কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ীই এই নামগুলো নির্ধারণ করা হয়েছে।”

স্থাপনাগুলোর নতুন নামকরণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় অঙ্গনে যেমন বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তেমনি উঠেছে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ও মূল্যবোধ সংরক্ষণের প্রশ্নও।

Leave a Reply

scroll to top