টেস্ট ফরম্যাটে নিজের শেষ আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন মুশফিকুর রহিম। একসময় শততম টেস্টই মনে হচ্ছিল দুরে, টানা ১৩ ইনিংস ফিফটি না পাওয়ায় চলছিল ফর্মহীন যাত্রা। সেই শঙ্কা দূরে ঠেলে গলে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৭তম টেস্টে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে জবাব দিলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার। তার আগে টেস্ট অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও গড়েছেন সেঞ্চুরি। প্রথম ইনিংসে ২৪৭ রানের অপরাজিত জুটি গড়ে বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণ এনে দিয়েছেন এ দুই ব্যাটার।
গলের উইকেটে চতুর্থ ইনিংসে ব্যাট করা কঠিন—এই বাস্তবতা মাথায় রেখেই টস জিতে ব্যাটিং নেয় বাংলাদেশ। তবে শুরুটা ভালো হয়নি। এনামুল হক বিজয় প্রথম বলেই ফেরেন শূন্য রানে। পরে সাজঘরে ফেরেন সাদমান (১৪) ও মুমিনুল (২৯)। স্কোরবোর্ডে তখন মাত্র ৪৫ রান, পড়ে যায় ৩ উইকেট।
সেই চাপ সামলে ইনিংস গুছিয়ে নেন শান্ত ও মুশফিক। সেশন শেষে দুজনই ফিফটি, পরে একে একে সেঞ্চুরি। ২০ ইনিংস পর শান্তর ছয় নম্বর টেস্ট শতক। মুশফিকের এটি ১২তম টেস্ট সেঞ্চুরি। দুইজনের ২৪৭ রানের জুটি এখন বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসে চতুর্থ উইকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। রেকর্ডটি (২৬৬ রান) আছে মুশফিক-মুমিনুলের নামে, যা ভাঙার দোরগোড়ায় শান্ত-মুশফিক।
দিন শেষে শান্ত ২৬০ বলে ১৩৬ রানে অপরাজিত, মুশফিক ১৮৬ বলে ১০৫ রানে অপরাজিত। শান্তর ব্যাট থেকে এসেছে ১৪টি চার ও ১ ছক্কা, মুশফিক তুলেছেন ৫টি চার—মোটে ২০ রানই বাউন্ডারি থেকে।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে দিনটিতে উইকেট পেয়েছেন কেবল দুজন—রহস্য স্পিনার থারিন্দু রত্নায়েকে ও পেসার আসিথা ফার্নান্দো। অভিজ্ঞ স্পিনার জয়সুরিয়া ছিলেন উইকেটশূন্য।
বাংলাদেশ দিন শেষ করেছে ৯০ ওভারে ২৯২/৩ স্কোরে। দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নেওয়ার সুযোগ শান্ত-মুশফিকের সামনে।