“করাপশন থ্রু মাই আইজ” প্রতিযোগিতার রানার আপ ব্রাক ইউনিভার্সিটির মুবাশশিরা

New-Project-4-15.jpg

“করাপশন থ্রু মাই আইজ” প্রতিযোগিতার রানার আপ ব্রাক ইউনিভার্সিটির মুবাশশিরা

২৪ ঘণ্টা বাংলাদেশ ব্রাক ইউনিভার্সিটি প্রতিনিধি,

ঢাকা জাতিসংঘ গ্লোবাল কমপ্যাক্ট নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের উদ্যোগে আয়োজিত “করাপশন থ্রু মাই আইজ” প্রতিযোগিতায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ভিত্তিক দল “ভয়েস অফ রিজন” অসাধারণ পারফরম্যান্সের মাধ্যমে রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। এই প্রতিযোগিতায় দলটির নেতৃত্বে ছিলেন মুবাশশিরা রাব্বি চৌধুরী, যিনি BRAC University Entrepreneurship Development Forum (BUEDF)-এর একজন এইচআর এক্সিকিউটিভ।

এই প্রতিযোগিতা তরুণ প্রজন্মকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি ও স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং ন্যায়বিচারের পক্ষে কণ্ঠস্বর তুলে ধরতে উৎসাহিত করে। প্রতিযোগীদের নিজের চোখে দুর্নীতির প্রতিফলন কিভাবে দেখেন, সে বিষয়ে মত প্রকাশের সুযোগ দেওয়া হয়। মুবাশশিরা ও তার দলের উপস্থাপনা ছিল চিন্তাশীল, বিশ্লেষণধর্মী এবং গভীর প্রভাবসঞ্চারী।

গ্র্যান্ড ফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছানো শুধু প্রতিযোগিতায় সফল হওয়ার প্রমাণ নয়, বরং এটি মুবাশশিরার একনিষ্ঠতা, নৈতিকতা এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ইচ্ছার প্রতিফলন। দুর্নীতির মতো একটি জটিল সামাজিক ইস্যুতে তার সাহসী অবস্থান ও সুস্পষ্ট বক্তব্য সকলকে অনুপ্রাণিত করেছে।

দলের পরিশ্রম ও মুবাশশিরার নেতৃত্বে এই সাফল্য এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, যা শুধুমাত্র ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির গর্বই নয়, বরং দেশের তরুণ প্রজন্মের আদর্শ হিসেবেও বিবেচিত হতে পারে। তার কণ্ঠস্বর হয়ে উঠেছে ন্যায়, সততা ও মানবিকতার প্রতীক।

এই অর্জন তার মূল্যবোধ ও উদ্দেশ্যপূর্ণ পথচলার স্বীকৃতি। মুবাশশিরা ও তার দলের এই সাফল্য প্রমাণ করে, কণ্ঠস্বর যখন যুক্তি, নৈতিকতা এবং সাহসের সাথে উচ্চারিত হয়, তখন তা সমাজে এক নতুন দিশা দেখাতে পারে। এই সাফল্যের নেপথ্যে চিত্রাঙ্কন করেছেন নবীদ নাহিয়ান এবং লিখিত প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন আদিবা হোসাইন।

মুবাশশিরা এবং তার দলকে জানাই আন্তরিক অভিনন্দন ও ভবিষ্যতের জন্য শুভকামনা।

Leave a Reply

scroll to top