অবশেষে পূর্ণ কার্যক্রমে ফিরেছে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল। দীর্ঘ ১৭ দিনের বিরতির পর আজ শনিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে পুরোদমে চিকিৎসাসেবা চালু হওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করছেন রোগী ও স্বজনেরা।
এদিকে সকালে হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে দেখা যায়, চিকিৎসা সেবাপ্রার্থীদের ভিড়ে আবারও ব্যস্ত হয়ে উঠেছে বহির্বিভাগ। টিকিট কেটে চিকিৎসকের সিরিয়ালের অপেক্ষায় ছিলেন অনেকে। আবার কেউ এসেছেন নতুন করে চেকআপ করাতে, কেউ আবার ভর্তি হচ্ছেন চক্ষু অপারেশনের জন্য।
নিরাপত্তা নিশ্চিতে হাসপাতালের মূল ফটক ও আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে রোগীদের প্রবেশে ছিল না কোনো বাধা—সবাই নির্বিঘ্নে সেবা নিতে পারছেন। হাসপাতাল চত্বরজুড়ে দেখা যায়, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়মিত কার্যক্রমে ব্যস্ত।
কথা হয় হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নিতে আসা মো. সাত্তারের সঙ্গে। তিনি জানান, “চোখের অপারেশন করানোর জন্য অনেক দিন ধরে অপেক্ষায় ছিলাম। আজ এসে ভর্তি হয়েছি। আগে করাতে পারলে এত ভোগান্তি হতো না।”
হারুনুর রশিদ নামের আরেক রোগী বলেন, “হাসপাতালে পুনরায় চিকিৎসাসেবা শুরু হওয়ার খবর পেয়ে ভোরেই চলে এসেছি। লাইন অনেক বড় ছিল। টিকিট কেটে ডাক্তার দেখাতে গেছি, কিন্তু তখনো ডাক্তার আসেননি।”
এদিকে জানা গেছে, সরকার গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটির ছাড়পত্র পাওয়া সত্ত্বেও জুলাই অভ্যুত্থানে আহতরা আবারও হাসপাতালে ফিরেছেন। বর্তমানে পাঁচজন আহত রোগী চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
তাদের একজন মো. নুর আলম অভিযোগ করেন, “আমরা অনেকজন এখানে চিকিৎসাধীন ছিলাম। কেউই এখনো ছাড়পত্র পাইনি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের সরিয়ে দিতে চাইছে।”
প্রসঙ্গত, গত ২৮ মে হাসপাতালের স্টাফদের সঙ্গে জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর জেরে হাসপাতালটির চিকিৎসক, নার্স ও কর্মীরা কর্মবিরতির ঘোষণা দিলে হাসপাতালের সকল কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সাধারণ মানুষের ভোগান্তি এড়াতে ৪ জুন থেকে সীমিত আকারে জরুরি বিভাগ চালু করা হয়।