পর্তুগালের লিসবনে

প্রবাসীদের ব্যবস্থাপনায় সর্ববৃহৎ ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত

New-Project-2025-06-06T153643.186.png

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক

পর্তুগালে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে খোলা আকাশের নিচে অনুষ্ঠিত হলো ইউরোপের অন্যতম বৃহত্তম ঈদুল আজহার জামাত। দেশটির রাজধানী লিসবনের ঐতিহাসিক মারতিম মুনিজ পার্কে প্রায় ৬ থেকে ৭ হাজারেরও বেশি মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করেন। এই বিশাল আয়োজন প্রবাসীদের মাঝে ব্যাপক উচ্ছ্বাস তৈরি করেছে।

লিসবনের এই ঈদ জামাতের আয়োজক কমিটির সদস্য এবং মারতিম মুনিজ জামে মসজিদের সভাপতি মোশারফ হোসেন জানান, “আমরা বরাবরের মতো প্রতিবছর পর্তুগাল সরকার এবং লিসবন মিউনিসিপ্যালের সহযোগিতায় এই আয়োজন করে আসছি। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকলেও, সবার সহযোগিতায় আমরা সফলভাবে এটি সম্পন্ন করতে পেরেছি, যার জন্য আমরা সবার প্রতি কৃতজ্ঞ।”

শুধুমাত্র লিসবন নয়, পর্তুগালের বিভিন্ন শহরেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণভাবে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে। বন্ধর নগরী পর্তোতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের উদ্যোগে সকাল ৮টা ও ৯টায় পৃথক দুটি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কমিউনিটি পর্তোর সভাপতি শাহ আলম কাজল শান্তিপূর্ণভাবে নামাজ আদায় সম্পন্ন হওয়ায় মুসল্লি এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।

ঈদ জামাতকে ঘিরে প্রবাসীদের মধ্যে ছিল বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। পর্তুগাল প্রবাসী মুজাম্মেল ফিরোজ বলেন, “কোরবানির ঈদের মূল আকর্ষণ পশু কোরবানি হলেও, পরিবার পরিজন ছেড়ে পর্তুগালে এই বড় পরিসরে খোলা আকাশের নিচে ঈদ জামাত আদায় করতে পারাটাও আমাদের জন্য বড় আনন্দের বিষয়।”

ঈদের নামাজ শেষে প্রবাসী বাংলাদেশিরা পর্তুগালের আইনের প্রতি সম্মান রেখে নির্ধারিত পশু জবাই কেন্দ্রে গিয়ে কোরবানি সম্পন্ন করেছেন। এছাড়া, বাংলাদেশি অধ্যুষিত বিভিন্ন সুপার শপ এবং মাংস বিক্রির দোকানে কোরবানির বুকিংয়ের মাধ্যমেও প্রবাসীরা ঈদুল আজহার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই নিয়ম পালন করেছেন।

লিসবন কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের উদ্যোগে সকাল ৭টা ও ৯টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও আলজেস, কাসকায়েস, অডিভেলাস, আলামেদা, আমাদরা, পর্যটন নগরী আলগারভ, ভিলা মিল ফন্টেস, কুইমরা, সেতুবাল, বারেইরো, এভোরা, মাদেইরা এবং আছোরেস দ্বীপপুঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবাসী বাংলাদেশি এবং মুসলিম কমিউনিটির পক্ষ থেকে আনন্দঘন পরিবেশে ঈদুল আজহার নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। এই আয়োজনগুলো পর্তুগালে মুসলিম সম্প্রদায়ের ঐতিহ্য ও সংহতিকে তুলে ধরে।

Leave a Reply

scroll to top