দুইবারের চ্যাম্পিয়ন লাহোর কালান্দার্স আবারও উঠেছে পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফাইনালে। শুক্রবার (২৩ মে) দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ইসলামাবাদ ইউনাইটেডকে ৯৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে জায়গা করে নেয় ফাইনালে। এই জয়ে বড় অবদান রাখেন বাংলাদেশের তরুণ লেগস্পিনার রিশাদ হোসেন, যিনি মাত্র ৩ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে শিকার করেন গুরুত্বপূর্ণ ৩ উইকেট।
দলে থাকা তিন বাংলাদেশির মধ্যে এই ম্যাচে খেলেছেন সাকিব আল হাসান ও রিশাদ। যদিও ব্যাট হাতে সাকিব ব্যর্থ হন, তবে বল হাতে আলো ছড়ান রিশাদ। এখনও খেলার সুযোগ না পেলেও স্কোয়াডে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
মালিকের কাছ থেকে পারফরমারদের ‘আইফোন পুরস্কার’
ম্যাচ শেষে লাহোরের ড্রেসিংরুমে খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি দিতে এগিয়ে আসেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির কর্ণধার সামিন রানা। তিনি চারজন সেরা খেলোয়াড়কে পুরস্কার হিসেবে দেন ২৪ ক্যারেট স্বর্ণের আইফোন ১৬ প্রো।
প্রথমে আইফোন দেওয়া হয় ৩ উইকেট পাওয়া পেসার সালমান মির্জাকে, এরপর ২৫ বলে ঝড়ো ৫০ রান করা মোহাম্মদ নাঈম ও ৩৫ বলে ৬১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলা কুশল পেরেরাকে।
সবশেষে ডাকা হয় রিশাদ হোসেনকে। তখন সামিন রানা আবেগভরে বলেন, “সত্যিই রিশাদ, তুমি আমাদের গর্বিত করেছ। চাপের মুখে যখন দলের দরকার ছিল, তখন তুমি স্পিনের বিপক্ষে ভালো খেলা ব্যাটারদের আউট করেছ। এজন্য তোমার জন্য থাকছে আইফোন।”
এর আগেও লাহোরের অধিনায়ক শাহীন শাহ আফ্রিদিকে তাঁর অসাধারণ নেতৃত্ব ও পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি হিসেবে উপহার দেওয়া হয়েছিল একটি গোল্ড আইফোন। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন রিশাদসহ আরও তিনজন।
ম্যাচের সারসংক্ষেপ
লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নামা লাহোর কালান্দার্স নির্ধারিত ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ২০২ রান, ৮ উইকেট হারিয়ে। ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন নাঈম ও পেরেরা। জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধস নামে ইসলামাবাদের ইনিংসে। রিশাদের স্পিনে কুপোকাত হন শাদাব খান, সালমান আগা ও জিমি নিশাম।
ইনিংসের মাঝপথে কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও শেষ রক্ষা হয়নি। শাহীন শাহ আফ্রিদি নিজের স্পেলে তুলে নেন শেষ দুটি উইকেট, ইসলামাবাদ থামে ১৫.১ ওভারে মাত্র ১০৭ রানে।
ফাইনালে লাহোর, বাংলাদেশি রিশাদ এখন দলের ভরসা
এই জয়ের মাধ্যমে লাহোর কালান্দার্স পিএসএল ২০২৫-এর ফাইনালে পা রাখে। আর সেই জয়ের অন্যতম রূপকার বাংলাদেশের রিশাদ হোসেন, যিনি শুধু বোলিংয়ে নয়, মন জয় করেছেন পুরো লাহোর দলের এবং মালিকেরও।
তরুণ রিশাদের এমন পারফরম্যান্সে নতুন করে আশার আলো দেখছেন বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীরাও। এখন অপেক্ষা—ফাইনালেও কি আবার দেখা যাবে এই জাদুকরী স্পিন?