কাঁঠাল—বাংলাদেশের জাতীয় ফল—খাওয়া যায় পাকা ও কাঁচা উভয় অবস্থাতেই। তবে অনেকেই জানেন না, কাঁচা কাঁঠাল স্বাদে যেমন অনন্য, পুষ্টিগুণেও তেমনি সমৃদ্ধ। এটি তরকারি হিসেবেও বহুল ব্যবহৃত হয়।
কাঁচা কাঁঠালে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য আঁশ বা ডায়াটারি ফাইবার থাকে। প্রতি ১০০ গ্রামে আছে প্রায় ২ গ্রাম আঁশ, যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই আঁশ কোলন ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতেও কার্যকর।
এ ছাড়াও কাঁচা কাঁঠালে রয়েছে:
শর্করা: ২৪ গ্রাম
চর্বি: ০.৩ গ্রাম
ক্যালসিয়াম: ৩৪ মি.গ্রা.
ম্যাগনেসিয়াম: ৩৭ মি.গ্রা.
পটাশিয়াম: ৩০৩ মি.গ্রা.
ভিটামিন এ: ২৯৭ আইইউ
ভিটামিন সি: ৬.৭ মি.গ্রা.
এই উপাদানগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ত্বক, চুল, দাঁত ও নখ সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। কাঁঠালে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। পাশাপাশি ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে ভূমিকা রাখে, যা ত্বকের সজীবতা বজায় রাখে।
কাঁঠালের বিচিও উপকারী—তাতে রয়েছে ভিটামিন বি১২, আয়রন ও আমিষ। বি১২ স্নায়ু পুষ্টি দেয়, আয়রন ও ফোলেট রক্ত তৈরিতে সাহায্য করে। গর্ভবতী নারী ও বাড়ন্ত শিশুদের জন্য ফোলেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তবে ডায়াবেটিস ও কিডনি রোগে আক্রান্তদের কাঁঠাল খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। রক্তে অতিরিক্ত পটাশিয়াম থাকলে কাঁঠাল এড়িয়ে চলাই ভালো।