ইরান-ইসরায়েলের চলমান উত্তেজনার মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে ইসরায়েল। সম্প্রতি ইরানে বিমান হামলার পর ইরানের প্রতিশোধের আশঙ্কায় এই পদক্ষেপ নিয়েছে দেশটি। এরইমধ্যে আবারও নতুন করে তেল আবিবে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে ইরান।
এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস। আজ সোমবার (১৬ জুন) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
সংবাদমাধ্যমটির তথ্য মতে, ইরান যেকোনও সময় যেকোনও জায়গায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাতে পারে— এমন আশঙ্কায় ইসরায়েল বিশ্বের কয়েকটি দেশে তাদের দূতাবাস ও কূটনৈতিক মিশন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। ইসরায়েলের স্থানীয় দৈনিক ইয়েদিওথ অহরনথ-এর খবরে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইরান যেভাবে হামলার হুমকি দিয়েছে, তাতে করে ইসরায়েলি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়তে পারে। তাই এই সতর্কতামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলের এই শঙ্কার মধ্যেও দেশটিতে নতুন প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে ইরান। ইসরায়েলের সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ইরান নতুন করে প্রতিশোধমূলক হামলা চালিয়েছে। এই হামলার সময় তেল আবিবের আকাশে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।
সংঘাত ও উত্তজনাকর এই পরিস্থিতিতে ইসরায়েল, অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজায় অবস্থানরত যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সব কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছে ইসরায়েলে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস।
এক বিবৃতিতে দূতাবাস বলেছে, “বর্তমান নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে মার্কিন সরকারি কর্মীদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের নিজ নিজ আবাসস্থলে নিরাপদে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে— পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ কার্যকর থাকবে।”
এদিকে তেল ইসরায়েলে ইরানি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ২২টি ভবন ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তেল আবিবের কাছে ইসরায়েলের বাত ইয়াম শহরে ইরানের প্রতিশোধমূলক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৭৫টিরও বেশি ভবনের মধ্যে ২২টি ভবন ভেঙে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন শহরটির মেয়র তসভিকা ব্রট। তিনি ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম আই২৪ নিউজ-কে বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত আবাসিক এলাকাগুলো পুনর্গঠনের জন্য তিনি একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছেন।