সমকামিতার অভিযোগ: ইবি শিক্ষক হাফিজুলের শাস্তি পুনর্বিবেচনায় সিন্ডিকেট

New-Project-32-5.jpg

সমকামিতার অভিযোগ: ইবি শিক্ষক হাফিজুলের শাস্তি পুনর্বিবেচনায় সিন্ডিকেট

ইবি প্রতিনিধি

সমকামিতায় বাধ্য করা এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের গালিগালাজ করার অভিযোগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে শাস্তি আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

এর আগে প্রশাসন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে হাফিজুল ইসলামের বার্ষিক ইনক্রিমেন্ট বাতিল ও এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিলেও এই শাস্তিতে অসন্তুষ্ট বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষকের স্থায়ী বহিষ্কার দাবি করে । তাদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে শাস্তি পুনরায় পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

রোববার (২৭ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করে কাউন্সিল শাখার উপ-রেজিস্ট্রার মোল্লা শফিকুল আলম বলেন, সর্বশেষ সিন্ডিকেট সভায় হাফিজুলের শাস্তি পুনরায় পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সিন্ডিকেট সদস্য ও ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি আশরাফুর রহমান এ বিষয়ে পর্যালোচনার দায়িত্ব পেয়েছেন। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে তার সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী সিন্ডিকেট সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের গালিগালাজ, নম্বর কম দেওয়া, ব্যক্তিগত নম্বরে ফোন করে উত্ত্যক্ত করা, ফেক আইডি দিয়ে কুরুচিপূর্ণ বার্তা পাঠানো এবং সমকামিতায় বাধ্য করার মতো গুরুতর অভিযোগ ওঠে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটক অবরোধ করে বিক্ষোভ করে এবং ২৭ দফা লিখিত অভিযোগ জমা দেয়। তদন্ত কমিটি তাদের অভিযোগের সত্যতাও পায়।

এ বিষয়ে শিক্ষার্থীরা বলেন, সত্যতা পাওয়ার পরও কেন প্রশাসন শিক্ষকের বিরুদ্ধে যথা উপযুক্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হচ্ছে না। যেখানে বিভাগের শতভাগ শিক্ষার্থী এই শিক্ষককে চান না সেই জায়গায় প্রশাসন কেন শিক্ষার্থীদের দাবিকে সমর্থন করছে না। এরপর গত ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ২৬৬তম সিন্ডিকেট সভায় তার বর্তমান শাস্তির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, যা এখন শিক্ষার্থীদের দাবির ভিত্তিতে পুনর্বিবেচনার পর্যায়ে রয়েছে।

Leave a Reply

scroll to top