দেশের আবহাওয়ায় বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চল এবং চট্টগ্রাম বিভাগে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। একই সাথে বৃষ্টি পর্যবেক্ষকদের তথ্য অনুযায়ী, বেশ কয়েকটি সক্রিয় বৃষ্টি বলয় (Rain Bands) উপকূলবর্তী এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠছে, যা আগামী ২৮ জুন পর্যন্ত কয়েক দফায় ব্যাপক বৃষ্টি ঘটাতে পারে।
বিশেষ করে চট্টগ্রাম বিভাগ, বরিশাল এবং খুলনা অঞ্চলে একটানা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একাধিক সার্কুলেশন বা নিম্নচাপ সৃষ্টিকারী সিস্টেম সক্রিয় থাকায়, এই বৃষ্টিপাতের সময়সূচি কিছুটা এদিক-ওদিক হতে পারে। তবে সামগ্রিকভাবে জুনের বাকি সময়জুড়েই আবহাওয়া থাকবে বৃষ্টিমুখর। আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, এসময় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে।
এই বৃষ্টিপাতের ফলে দিন ও রাতের তাপমাত্রা উল্লেখযোগ্য হারে কমে আসবে। ইতোমধ্যেই দেশের কিছু এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহ প্রশমিত হয়েছে, যা জনজীবনে স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে। অনেক দিন ধরে চলা তীব্র গরমের পর এই বৃষ্টি স্বস্তির বার্তা নিয়ে আসছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর উপকূলীয় এলাকার বাসিন্দাদের প্রয়োজনীয় সতর্কতা অবলম্বনের জন্য অনুরোধ করেছে, বিশেষ করে নদী ও সাগর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া, কৃষকদেরও এই সময়ে তাদের ফসলের সুরক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। হঠাৎ ভারী বৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে, তাই আগাম প্রস্তুতি নেওয়া জরুরি।
ইতিমধ্যেই দেশের কিছু এলাকায় বৃষ্টি শুরু হয়েছে। যারা আজ নিজেদের এলাকায় বৃষ্টি পেয়েছেন, তারা বর্ষার এই প্রত্যাবর্তনে বেশ স্বস্তি পেয়েছেন। এই বৃষ্টি দেশের কৃষি, পরিবেশ এবং জনজীবনে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা আগামী দিনগুলিতে স্পষ্ট হবে। সামগ্রিকভাবে, দীর্ঘ খরা ও তাপপ্রবাহের পর এই বৃষ্টি দেশের জন্য এক আশীর্বাদ হয়ে আসছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
